নিজস্ব প্রতিবেদন : সামনেই একুশের ভোট। বাংলায় বিজেপিকে প্রতিরোধ করতে একের পর এক প্রশাসনিক প্রকল্প ঘোষণা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল প্রতিপক্ষ হিসাবে বাংলায় উত্থান ঘটছে বিজেপির। রাজনৈতিক মোকাবিলা ও জনগণের মন পেতে সরকারকে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দুয়ারে সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন প্রকল্প আনতে চলেছে নবান্ন। বড় বড় প্রকল্পের বদলে ছোট ছোট প্রকল্পের কাজ হবে ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্পের দ্বারা।
রাস্তা ভাঙাচোরা থাকলে, রাস্তার উপর কালভার্ট না থাকলে, তা কাজ হবে ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্পের মাধ্যমে।
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “স্থানীয় ছোটছোট যেসব কাজ থাকে সেগুলি এই প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। আগামী ২রা জানুয়ারি থেকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির জন্য পৃথক টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “হাসপাতাল আছে, অ্যাম্বুলেন্স নেই, পাইপ লাইন পৌঁছেছে কিন্তু কোন কারণে জল আসছে না বা স্কুলে আর একটি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন এমন কিছু সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে এই কর্মসূচিতে।”
দুয়ারে সরকারের কর্মসূচির সাফল্যও এদিন তুলে ধরেন মুখ্যসচিব।
জানান, ইতিমধ্যেই গ্ৰাম ও শহর মিলিয়ে মোট ৬০৯টি শিবিরে ৫ লক্ষ মানুষ গিয়েছেন। ৩ লক্ষের বেশি মানুষ কিছু না কিছু পরিষেবা চেয়ে আবেদন পত্রের দিয়েছেন। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ তাদের কাঙ্খিত পরিষেবা পেয়ে গিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চেয়ে ৮৭ হাজার ৯৯১ টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ হাজার ২৩৬টি পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছে।
তৃণমূলের সরকারের দাবি, ‘দুয়ারে সরকারে’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই বিপুল সাড়া ফেলেছে। এই প্রকল্পকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষেই সরকারের এই নতুন ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি।
পাড়ায় পাড়ায় সরকারের প্রকল্পের লক্ষ্য একেবারে গ্ৰামীন স্তরে মানুষের কাছে সরকারের প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া।