নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমে পা রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের প্রসঙ্গ তুললেন ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পের। এই কয়লা শিল্প তিনি দ্রুত শুরু করার পক্ষে নিজের মতামত পোষণ করেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দেন এই শিল্প হলে ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং ১০০ বছর বিদ্যুতের কোন অভাব হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কয়লা শিল্প দ্রুত চালু করার পক্ষে সওয়াল করে পরিকল্পনা হিসেবে জানান, “যেখানে পাবলিক নেই। যেখানে পাবলিকের প্রবলেম হবেনা। ধানক্ষেত বাদ দিয়ে। গৃহস্থ বাদ দিয়ে যেটুকু জমিটা পড়ে আছে সেটুকুর উপর আমরা কাজ শুরু করতে পারি কিনা, যদি সেটা করতে পারি তাহলে ওখানকার লোকদের নিয়েই কাজটা করা যেতে পারে। আশে পাশের গ্রামে যারা আছে তাদের নিয়ে। তারপর কিছু ট্রেনড লোকও দরকার। তারপর আস্তে আস্তে যখন আমরা অনেক দূরে যাবো, তারপর পুরো তৈরি করে, আদিবাসীদের গ্রাম, আদিবাসীদের জমি, আদিবাসীদের চাকরি, কেউ যাতে কোনরকম বঞ্চিত না হয় সেটা আমরা দেখে নেবো। সেটা আস্তে আস্তে অনেক টাইম লাগবে। এখনই হবেনা।”
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, “এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্প হবে। এখানে কম করে ১ লক্ষ মানুষের চাকরি হবে।” পাশাপাশি তিনি এদিন স্পষ্ট করে জানান, কারোর সাথে আলোচনা না করে কোনভাবেই কারোর থেকে কোন জমি নেওয়া হবে না।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরেও আদিবাসীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় যারা ওই পাথর শিল্প এলাকায় কাজ করছেন এবং জমি হারা রয়েছেন তাদের কি হবে? আগে আমাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হোক তারপর আমরা নতুন করে কয়লা শিল্প নিয়ে ভাববো।”