নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে গত তিন মাস ধরে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও বিশ্বে নতুন করে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। আর এমত অবস্থায় যখন দেশে ২০ জন করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত ঠিক সেসময় কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রতিটি রাজ্যকে বর্ষবরণে সদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় এবং নাইট কার্ফু জারি করার পক্ষে মতামত পোষণ করে। আর কেন্দ্রের এই চিঠির পর রাজ্য সরকার কোন পথে হাঁটতে চলেছে তাই এখন আমজনতার প্রশ্ন।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সতর্কতা হিসাবে রাজ্যের মানুষকে সতর্ক এবং সাবধান থাকার কথা বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবে নাইট কার্ফু জারি করা হবে না এমনটাও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কোথাও যেন বেশি ভিড় না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। আদালতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, জায়গায় জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি চালাতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
আর এই আদালতের নির্দেশ এবং কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নাইট কার্ফুর মতো কঠোর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন আমাদের রাজ্যে নেই। বাধ্যতামূলক ভাবে নয়, বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজ্যকে এসব বিবেচনা করতে বলেছে কেন্দ্র। পুলিশ, প্রশাসন ও নাগরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে শান্ত ভাবে এবং সুরক্ষা বিধি মেনে উৎসব উদযাপন করলে সমস্যা হবে না। আদালত সহ অন্যান্যরাও একই কথা বলছেন।”
আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে মুখ্যসচিবের মুখ থেকে। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “করোনার নতুন চরিত্র সামনে আসার পর একে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে সর্বত্রই। তাই অকারণ উল্লাস পরিহার করাই শ্রেয়। সরকার সকলকে আবেদন করছে, শান্ত, সংযত, নিরাপদ ভাবে বর্ষবরণের উৎসব পালনের জন্য। পুলিশ সতর্ক থাকবে। পার্ক স্ট্রিট, ইকো পার্ক, ভিক্টোরিয়ার মতো সব ভিড়ভাট্টা জায়গায় পুলিশের বুথগুলিকে সহায়তা কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক। কেউ মাস্ক না পরলে ওই সহায়তা কেন্দ্র থেকে তা দেওয়া হবে। মাস্ক ছাড়া জটলা, জমায়েত করবেন না দয়া করে।”