অমরনাথ দত্ত : কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর সাথে রাজ্য সরকারের বিবাদ পৌঁছেছে চরমে। পাঁচিল কাণ্ডে এই বিবাদের সূত্রপাত। যাওয়ার পরে এই বিবাদ এখন এসে পৌঁছেছে রাস্তায়। গত ২৮ ডিসেম্বর বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতীকে দেওয়া একটি রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেন।
আর এর পরেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নতুন পদক্ষেপ হিসাবে দমকল অফিসের পাশে শান্তিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা, যেটি লালপুল মেন রোডে ওঠার শর্টকাট, সেই রাস্তা বন্ধ করার কাজ শুরু করে। যা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়। আর এই বিতর্কের মাঝেই শুক্রবার ওই রাস্তায় পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও পাঁচিল দেওয়া বন্ধ হয় বীরভূম জেলা প্রশাসনের তৎপরতায়।
পাঁচিল দেওয়ার ঘটনার কথা জানতে পেরে বীরভূম জেলা শাসক ডঃ বিজয়ী ভারতী এবং জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জেলাশাসক জানান, কি কারনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রাস্তার মাঝে এই পাঁচিল দিচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। জেলাশাসক এটাও জানান যে, এই ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসার রাস্তা হঠাৎ করে পাঁচিল দিয়ে বন্ধ করা যায় না।
অন্যদিকে এই পাঁচিল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার যে কাজ চালাচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার কড়া নিন্দা করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “অন্যায়, অন্যায়, একেবারে অন্যায়। সাধারণ মানুষ বুঝুক বিশ্বভারতীর যে ভিসি আছেন উনি বিজেপি করেন। তাহলে এরা কি ধরনের বিজেপি করে দেখুন। সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে।”
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রশাসনের তরফ থেকে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে।” যদিও পাঁচিল দিয়ে রাস্তা ঘেরার কাজ কেন করা হচ্ছে অথবা এই কাজ প্রশাসনের তরফ থেকে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।