নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট যতই এগিয়ে আসছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। শুরু হয়েছে শাসকদল তৃণমূলকে খোঁচা, আক্রমণ। আর এমত অবস্থায় গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই একের পর এক সভা করে চলেছেন, আর সেই সকল সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করছেন।
শনিবার মহিষাদলের দ্বারিবেড়িয়ায় বিজেপির যোগদান মেলায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে পুনরায় একাধিক ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারী বিদ্ধ করলেন রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূলকে। আর এবার তার মুখ থেকে যেসকল ইস্যুগুলি বেরিয়ে এলো তার মধ্যে অন্যতম হলো চাকরি এবং শিল্প।
চাকরি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমেই তিনি বলেন, প্রতি বছর এসএসসি হবে, টেট পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীরা চাকরি পাবেন। সাদা খাতা জমা দেওয়া হবে না। আর তারপরেই উঠে আসে শিল্পের প্রসঙ্গ। যে শিল্প প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেই দিলেন, এই সরকারের যা জমি নীতি তাতে একটাও শিল্প হবে না। এমনকি চপ ভাজার শিল্পও হবে না। ঠিক কি বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রত্যেক বছর এসএসসি, পিএসসি, কলেজ সার্ভিস কমিশন, মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশন, কো অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী বেকার নিয়োগ হবে। সাদা খাতা জমা দেওয়া হবে না। খাতার পাতা বদলাবে না।”
পাশাপাশি তিনি তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “ভোট এলেই বলে শংকরপুরে বন্দর হবে। এইচডিআরএ-এর আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। এর যা শিল্পনীতি, জমি নীতি কোথাও একটাও শিল্প হবে না। চপ ভাজার শিল্পও হবে না। আমি ভিতরে ঢুকে দেখেছি।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সরকার রাজ্যের শাসনে আসার পর স্কুল শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বারংবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। পাশাপাশি রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থা নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আর এবার এই সকল ইস্যুকেই মূল হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবিরের হয়ে এগিয়ে যেতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের বিশেষজ্ঞরা।