নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক নেতাকর্মীর শাসকদল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আর এই ভাঙ্গনকে আরও ত্বরান্বিত করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের আগে এই যোগদানের হিড়িক দেখে বিজেপি তো রীতিমতো ‘যোগদান মেলা’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। যে যোগদান মেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
রবিবার এমনই এক যোগদান মেলা কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ঝাড়গ্রামে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখার সময় দুজনেই তাদের ক্ষুরধার বক্তৃতায় শাসক দল এবং তাদের নানান দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব হন। পাশাপাশি তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘বিশ হাজার জেতার কথা, ৫০ হাজারে জেতাবো। ৫০ হাজারে যেখানে জেতার কথা সেখানে ৮০ হাজারে জেতাবো।’
তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পায়খানার যে টাকা গুলো এসেছে সেগুলোও তৃণমূলের পঞ্চু বাবুরা খেয়ে ফেলেছে। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রীর এক একটা স্কিমের নাম বদলে বাংলায় চালানো হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পকে নাম বদলে পথস্ত্রী করে নারকেল ফাটাচ্ছে। সব স্কিম কেন্দ্র সরকারের স্কিম।”
এর পরেই তিনি বলেন, “গোটা ঝাড়গ্রামের অঞ্চলে অঞ্চলে যাবেন গরিব মানুষ গুলোর ছোট ছোট ঘর দেখতে পাবেন। আর গোটা অঞ্চলে পাকা বাড়ি কার হয়েছে? তৃণমূলের পঞ্চায়েত বাবুদের। ভাঙ্গা সাইকেল ছিলনা। আমি নিজে জানি। তারা এখন দুটো তিনটে করে স্করপিও-র মালিক। কেউ খড়গপুরে মাঠ কিনেছেন, কেউ বেলদায় জায়গা কিনেছেন। কেউ মেদিনীপুরে জায়গা কিনেছেন। আর এরা এত নিকৃষ্ট মানের যে আইসিডিসিএস-এর চাকরিটাও নিজের আত্মীয় ছাড়া কাউকে দেননি। সব নিজের ঘরের মধ্যে রেখে দিয়েছে। যদিবা কেউ একটা দুটো দাড়ি কাটার মত কন্ট্রাক্টচুয়াল চাকরি পেয়েছে তাকেও ৫ লাখ ৭ লাখ করে দিতে হয়েছে।”
শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি এখানে শক্তিশালী। আরও শক্তিশালী করবো। বিশ হাজারে জেতার কথা, ৫০ হাজারে জেতাবো। ৫০ হাজারে জেতার কথা ৮০ হাজারে জেতাবো।”