অমরনাথ দত্ত : বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে বোলপুরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তায় ফিরিয়ে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ওই রাস্তায় তৃণমূলের তরফ থেকে বাইক মিছিল এবং বক্স বাজানো হয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনে থাকা এই রাস্তা বর্তমানে P. W. D.-র হলেও এই এলাকা ‘নো সাউন্ড জোন’ বা ‘নো হর্ন জোন’ হিসাবে ঘোষিত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। যা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। আর এদিনের এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু স্বয়ং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তবে অনুব্রত মণ্ডল এই সকল বিতর্কে কোনরকম কর্ণপাত করতে চান না। বরং তিনি জানিয়েছেন, “ওই রাস্তাটা রাজ্য সরকারের। ওই রাস্তাটা P. W. D.-র। ওই রাস্তাটা আমরা বিশ্বভারতীকে দিয়েছিলাম। বিশ্বভারতী মানুষের স্বার্থে কোন মেনটেন করে নাই। রাস্তাটার অবস্থা খারাপ। উল্টে বিশ্বভারতী রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওটা P. W. D. রোডসের জায়গা, বিশ্বভারতীর জায়গা নয়।”
এর পরেই ‘নো হর্ন জোন’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তার উত্তর, “বোকার মত কথা বলেন না। P. W. D. রোডস। ওখানে কোন ভারী গাড়ী যাবে না। যেহেতু আশ্রম। আশ্রমের জমিটার কত পরিমান জানেন? মাত্র ৩৭ একর। যেটা বিশ্বভারতীর। বাদ বাকি জমিটা সবাই ফেরত চাইছে খবর নিন।”
এরপরেই রাজনীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একপ্রকার মেজাজ হারিয়ে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “এখনো রাজনীতি করি নাই। ওটা P. W. D.-র রোড। আমার P. W. D.-র রোডে কি করবো সেটা আমার ব্যাপার। বোলপুর শান্তিনিকেতন শ্যামবাটি রোড P. W. D.-র রোড। একবারে কালিসায়র থেকে কাঁচের ঘর অব্দি P. W. D.-র রোড। এখানে বিশ্বভারতীর কি সম্পর্ক আছে?”
আর এই সকল প্রশ্ন উত্তর পর্বেই হঠাৎ অনুব্রত মণ্ডলের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তিনি বলে ওঠেন, “এটা পাগল বলছিল তো। বিশ্বভারতীর যিনি ভিসি তিনি পাগল। ওর মস্তিষ্ক ঠিক নাই। নিঃসন্দেহে ও বিজেপির একটা বড় লিডার। ওকে কোন ব্রেন হসপিটালে নিয়ে যাওয়া উচিত।”
যদিও বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বিতর্কিত মন্তব্য এবং বিশ্বভারতীর নো হর্ন জোনে বক্স বাজানো নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।