‘নেতাদের কোনো দাম নাই’, শতাব্দী প্রসঙ্গ উঠতেই অনুব্রতর জবাব

Amarnath Dutta

Updated on:

Advertisements

অমরনাথ দত্ত : হঠাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেসুরো হয়ে পড়েন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দি রায়। শনিবারই নাকি তিনি দিল্লি রওনা দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি অনুব্রত মন্ডলের খাস তালুকে এবার ভাঙ্গন! এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘নেতাদের কোনো দাম নাই, কর্মীরাই শেষ কথা’।

Advertisements

Advertisements

বৃহস্পতিবার ফেসবুক পেজে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বহু কর্মসূচির খবর তিনি পান না। যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও মানুষের পাশে থাকার সুযোগ থেকে তিনি হাতছাড়া হন। যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “কিছু বলার নেই। মমতা ব্যানার্জি যেদিন র‍্যালি করলো সেদিন তো মমতা ব্যানার্জির সাথে শতাব্দীই হাঁটছিলো। অন্য কেউ ছিল কি? তাহলে আমার বলার কি আছে। তাহলে মমতা ব্যানার্জির মিটিংয়ে ডাকতো কেন? একমাত্র ওই তো হেঁটেছিল। আর সব এমএলএ, মন্ত্রী সবাইতো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।”

Advertisements

পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল জানান, “কি কাজ তাকে করতে দেওয়া হয়নি। একটা উদাহরণ দাও। আমাকে কোনদিন অভিযোগ জানায়নি। এমপি লেডের টাকা ওই বিলি করে। কাকে দেয় ওই জানে।”

দল ছাড়া অথবা বিজেপিতে যোগদান করার প্রসঙ্গ উঠলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “প্রথম কথা এখনও দল ছাড়েনি। দল থেকে সরবো কথাও বলেনি। এই মুহূর্তে ওর সম্বন্ধে মন্তব্য করতে রাজি নয়। দল থেকে সড়লে নিশ্চয়ই মন্তব্য করবো। আর দল থেকে সরবেই বা কেন? তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বলেই তো জিতেছে। তৃণমূল কংগ্রেসই জিতেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দুহাত ভরে ভোট দিয়েছে তবেই তো জিতেছে।”

Advertisements