‘তৃণমূল নেতারা এতদিন কাটমানি নিতো, এখন ভ্যাকসিনও নিয়ে নিচ্ছে’, খোঁচা দিলীপের

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন হোক অথবা করোনা ভ্যাকসিন, অথবা অন্য কোন প্রকল্প। সবকিছুতেই কেন্দ্র রাজ্য বিবাদ রয়েছেই। আর এই বিবাদ নিয়ে বারংবার তৃণমূল এবং বিজেপির দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের একে অপরকে আক্রমণ করতে দেখা গেছে। আর এই আক্রমণ দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণের দিনও বাদ পড়লো না।

Advertisements

Advertisements

দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ শুরু হওয়ার দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ছিল কেন্দ্র। আর ঠিক তার পরদিন অর্থাৎ রবিবার পাল্টা দিতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘তৃণমূল নেতারা এতদিন কাটমানি নিতো, এখন ভ্যাকসিনও নিয়ে নিচ্ছে’। রবিবার চৌরঙ্গীতে চা-চক্র থেকে এই ভাবেই খোঁচা দিলেন তিনি।

Advertisements

এর পাশাপাশি তিনি বাংলায় পরিবর্তন হবে এমনটা নিশ্চিত করে জানান চা চক্র থেকে। তার কথায়, গোটা দেশে পরিবর্তন হয়েছে বাংলাতেও পরিবর্তন হবে। অন্যদিকে বহিরাগত ইস্যু উঠে আসে আজকের এই চা চক্রে। যেখানেও থাকে কটাক্ষ করে বলতে দেখা যায়, ‘দিদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বহিরাগত বলছে। আর বাড়িতে বউ এনেছে পাঞ্জাব থেকে।’

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বাংলার একাধিক তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার না হয়েও করোনার টিকা নিতে। যা নিয়ে সমাজে নানান বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

যে সকল তৃণমূল নেতারা শনিবার টিকা নিয়েছেন তাদের তালিকায় রয়েছেন কাটোয়ার পুর প্রশাসক ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভাতারের বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মন্ডল এবং প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা, ভাতার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা, জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ জহর বাগদি, পঞ্চায়েত সমিতির শাসক দলের দলনেতা বাসুদেব যশ। এছাড়াও এই তালিকায় নাম ছিল আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। যদিও তিনি বিতর্কের মাঝে পড়ে টিকা নেননি।

তবে এই সকল তৃণমূল নেতাদের টিকা বিতরণের প্রথম দিনেই টিকা দেওয়ার কারণ হিসাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, উনারা প্রত্যেকে কোন না কোন হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির সদস্য। যে কারণে তাদের অধিকার রয়েছে টিকা নেওয়ার এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে টিকা দেওয়ার জন্য তাদের নাম পাঠানো হয়।

Advertisements