নিজস্ব প্রতিবেদন : দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও পরে দলের সাথে আলোচনায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে দলের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। আর এই ক্ষোভ প্রসঙ্গেই স্বাভাবিকভাবে রবিবার রামপুরহাটে থাকাকালীন শতাব্দী রায়ের সামনে উঠে আসে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। আর এই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায়ের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘সমস্যা নিঃসন্দেহে আছে’।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গ উঠলে শতাব্দী রায় সাংবাদিকদের জানান, “আমার কথা হচ্ছে প্রত্যেকেই দলে যারা যারা যা যা কথা বলছে সেটা কিন্তু সত্যি। এরকম নয় যে তারা সবাই ক্ষমতার লোভে অথবা সবাই ভয় দেখানোর জায়গা থেকে বলছে। এগুলো কিন্তু নয়। প্রত্যেকেরই সমস্যা নিঃসন্দেহে আছে। দলের হয়ে কাজ করে তারা শুধু শুধু কেন দলের উপর অভিযোগ করবে। আমার মনে হয় যারা যারা অভিযোগ করছেন দলের উচিত সেই অভিযোগগুলোকে যাচাই করা।”
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, সেই সকল অভিযোগ যাচাই করে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিয়ে প্রত্যেকের প্রাপ্যটুকু পাওয়া উচিত।
অন্যদিকে এদিন শতাব্দী রায় জানিয়ে দেন, তিনি টিআরডিএ অর্থাৎ তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে সরে যেতে চান। এর আগেও দু’বার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন কিন্তু তা গ্রহণ হয়নি। আর এই পদ থেকে সরে যেতে চাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, “আমার মনে হয়না এখানে কোনো মতামত দেওয়ার জায়গা আছে। আমার কোন সাজেশন নেওয়া তো দূরে থাক আলোচনার বিষয় অব্দি না পৌঁছয় সেখানে আমি এই পদটাকে আটকে রেখে কেন নষ্ট করবো।”