‘পুলিশ ছাড়া অক্সিজেনের জন্য খাবি খাবেন’, নাম না করে অনুব্রতকে খোঁচা ভারতীর

Amarnath Dutta

Updated on:

Advertisements

অমরনাথ দত্ত : ‘ও মোটা দাদা, ক্ষমতা থাকলে পুলিশ গার্ড ছেড়ে রাস্তায় নামুন। বাপের ব্যাটা হলে পুলিশ গার্ড ছেড়ে রাস্তায় নামুন। দেখতে চাই মোটা দাদা আপনার ক্ষমতা কত? অক্সিজেনের জন্য খাবি খাবেন। খাবি খাবেন।’ প্রাক বিধানসভা নির্বাচনের আগে শনিবার বীরভূমে এসে এই ভাবেই নাম না করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।

Advertisements

শনিবার পাঁড়ুইয়ের বাজার থেকে পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে একটি রোড শো করা হয়। যে রোড শোয়ে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। রোড শো শেষে বক্তব্য রাখার সময় তিনি নাম না করে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীকে কড়া আক্রমন করেন। তিনি তার বক্তব্যের মাঝে খোঁচা দেন অনুব্রত মণ্ডলের নানান নিদান থেকে তৃণমূল সরকারকে।

Advertisements

ভারতী ঘোষ বলেন, “ও মোটা দাদা শুনছো। আপনার এলাকায় এসেছি। আপনার এলাকায় এসেছি। আপনার যদি ক্ষমতা থাকে বড় বড় কথা বলার আগে, পুলিশকে নাকি উড়িয়ে দেবে, ওকে উড়িয়ে দেবে, ভ’য়ঙ্কর খেলা হবে, সব করার আগে ওই পুলিশের গার্ডটা ছেড়ে দিয়ে না রাস্তায় নামুন। পুলিশের গার্ড ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় নামুন। আপনার যদি ভয় না পায়, যদি বাপের ব্যাটা হন পুলিশের গার্ড ছেড়ে রাস্তায় নামুন। রাস্তায় নামুন, দেখান যে আপনি ভয় পান না। পুলিশ গার্ড ছেড়ে বড় বড় কথা বলুন। আমরা দেখতে চাই মোটা দাদা আপনার ক্ষমতা কত? অক্সিজেনের জন্য খাবি খাবেন। খাবি খাবেন। খাবি খাবেন।”

Advertisements

এর পরেই তার আক্রমনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে ভারতী ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আপনি বলেন আপনি নাকি সততার প্রতীক। আপনি যদি সততার প্রতীক হন তাহলে আম্ফান দুর্নীতির জন্য মহামান্য হাইকোর্ট তদন্তের জন্য বার্তা দিয়ে দিয়েছে। আপনি বাধা দিচ্ছেন কেন? আপনি সেই তদন্ত বন্ধ করার জন্য আপিল করছেন কেন? আপনি কেন তদন্ত হতে দিতে চাইছেন না? আপনি না সততার প্রতীক! আমফানের কত কত টাকা কোথায় কোথায় গেছে সব তো বেরিয়ে পড়বে যদি তদন্ত হয়।”

এর পরেই সম্প্রতি একটি ভোটের সমীক্ষাকে কটাক্ষ করতে দেখা যায় ভারতী ঘোষকে। ভারতী ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আপনি সমীক্ষা করিয়ে দেখাচ্ছেন তৃণমূল জিতছে। অ্য! তাহলে তৃণমূল জিতছে তো ভাঙ্গন অব্যাহত কেন? এই ভাঙ্গন অব্যাহত কেন? শান্তিপুরের বিধায়ক বেরিয়ে এলো কেন? রাজিব বাবু, একজন সৎ স্বচ্ছ মন্ত্রী উনি, এত কষ্ট পেয়ে রেজিগনেশন দিতে বাধ্য হলেন কেন? বৈশালী ডালমিয়া উইপোকা বলেছে। বড্ড কষ্ট হচ্ছে। চিমটি কেটে দিয়েছে! বড্ড কষ্ট হয়েছে! উইপোকা শুনেই তাকে সাসপেন্ড। কত পোকামাকর শুনতে হবে, আপনারা কত লোককে সাবস্ক্রাইব করবেন দিদিমণি!”

Advertisements