হিমাদ্রি মন্ডল : ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করবো নবান্নে একটি রেজিস্টার তৈরি করুন। আপনার কতজন মন্ত্রী। কতজন এমএলএ। আপনার কতজন এমপি আছে প্রতিদিন সকাল-বিকেল রোল কল করুন। কারণ সকালে বেলায় যিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করছেন, বিকাল বেলায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে টাটা বাই বাই করে দিল্লিতে চলে যাচ্ছেন। সেই জন্য প্রতিদিন রোল কল করতে হবে। একবার সকালবেলায় রোল কল করতে হবে আর একবার বিকাল বেলায় রোল কল করতে হবে।’ শনিবার বীরভূমের সিউড়িতে সভা করতে এসে এই ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা মাফুজা খাতুন।
মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি এদিন অনুব্রত মণ্ডলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের পাল্টা হিসাবে জানান, ‘খেলা ২০১৯ সালেই শেষ হয়ে গেছে। সেই বার রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে গ্রীন কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে নবান্নে প্রবেশের জন্য। আর তৃণমূলকে রেড কার্ড দেখিয়েছে যাতে নবান্নে তারা প্রবেশ না করে। সুতরাং এইসব ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে আর কিছু লাভ হবে না। খেলা আগেই শেষ হয়ে গেছে।”
অন্যদিকে তিনি পুনরায় জল্পনা তৈরি করলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দি রায়কে নিয়ে। শুধু শতাব্দী রায় নন, পাশাপাশি এই জল্পনায় নাম ঢোকালেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবেরও। জল্পনা বাড়িয়ে তিনি জানান, “শতাব্দি বেলাইন হয়েছে। একবার যে বেলাইন হয় তার টেন্ডেন্সিটা বেলাইনের দিকেই থাকে। যতই ওকে পদ দিক না কেন, ও মনস্থির করে নিয়েছেন।”
শতাব্দী রায় ছাড়াও দেব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঘাটালের এমপিও মনস্থির করে নিয়েছেন। আগামীকাল দেশের প্রধানমন্ত্রী হলদিয়াতে আসছেন। সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পাশে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হবে। সেখানেও অনেক ধামাকা দেখতে পাবেন। আর ১৭ই ফেব্রুয়ারি একটা বড় ধামাকা হবে। একটু সময়ের অপেক্ষা। সময় বলবে।”
রাজ্য রাজনীতিতে যখন একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা শাসক দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন ঠিক সেসময় বিজেপি নেত্রীর এমন দাবি রাজ্য রাজনীতিতে আরও জল্পনা বাড়ালো বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বিজেপি নেত্রীর দাবি প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।