নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষা, সকলের জন্য খাদ্য এবং শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান করে বাম ও কংগ্রেসের যুব সংগঠনগুলি। কিন্তু অভিযানের শুরুতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাম ও কংগ্রেসের এই নবান্ন অভিযান রুখে দিতে কড়া পুলিশি নজরদারি শুরু হয়। তবে সেই কড়া পুলিশি নজরদারিকে এড়িয়ে সিপিআইএম ছাত্রনেতা ও বিধায়ক ইব্রাহিম আলী আচমকা চলে আসেন নবান্নের সামনে।
সিপিআইএম বিধায়ককে ইব্রাহিম আলী এবং আরও কয়েকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশের সাথে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশ তাদের টেনে হেঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলে। তবে তখনো তারা থেমে যাননি। উঁচু গলায় স্লোগান দিতে শুরু করেন ‘খেলা হবে’। তবে এরপরেই বেলা বাড়তে বাড়তে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়।
বিভিন্ন দিক থেকে নবান্ন মুখী বিক্ষোভকারীদের মিছিল আসতে শুরু করে। পুলিশ সেই সমস্ত মিছিল আটকে দেয়। আর এরপরেই ধর্মতলা থেকে চার হাজারের বেশি সদস্য নবান্নের দিকে এগোতে শুরু করে। আর পুলিশ সেই অভিযান আটকাতে চাইলে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙ্গে তারা তাদের অভিযান অটুট রাখার চেষ্টা করেন।
পুলিশ প্রথমে জলকামান, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ঐসকল আন্দোলনকারীদের রুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে পুলিশ সফল হতে পারেনি। এরপরেই পুলিশ ওই সমস্ত আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে লাঠি উঁচিয়ে ধাওয়া করে। আর এই ঘটনায় অজস্র আন্দোলনকারী আহত হন। আহত হওয়ার পাশাপাশি ধস্তাধস্তিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের শক্তি দেখে কার্যত বিভ্রান্ত হয়ে পরে পুলিশও।
[aaroporuntag]
ঘটনার পর পুলিশি ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাম নেতারা। সিপিআইএম নেতা মহঃ সেলিম সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি তিনি জানান আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে বাম সংগঠনগুলির তরফ থেকে। পাশাপাশি বামেদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সাধারণ ধর্মঘট পালনের পাশাপাশি রাজ্য বামফ্রন্ট রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালন করবে।