নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশ তথা বিশ্বের সামনে মানবিক মুখের পরিচয় দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একরত্তির জীবন বাঁচাতে প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা কর মুকুব করে এমন নজির গড়লেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রের এমন মানবিক পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিরোধীরাও।
তিরা কামাতে নামে মাত্র ৫ মাস বয়সী একরত্তি মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাসিন্দা। তবে এই ক্ষুদে বিরল এক রোগে আক্রান্ত। জন্মের পর দু’মাস বয়স থেকেই দুধ খাওয়ার সময় সে কান্নাকাটি করতো। সচরাচর বাচ্চারা দুধ খাওয়ার সময় কান্নাকাটি করে না। এই ঘটনা দেখে অবাক হন চিকিৎসকেরা। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়।
একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় ওই খুদে তিরা Spinal Muscular Atrophy (SMA)-তে আক্রান্ত। এই রোগটি জিনগত রোগ বলেও জানা যায়। এই রোগের কারণে তার শরীরে প্রোটিন তৈরি হবে না। পাশাপাশি নার্ভ এবং পেশির বৃদ্ধি হবে মন্থর গতিতে। তবে এই রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ আছে। কিন্তু সেই ওষুধ পাওয়া যায় একমাত্র আমেরিকায়। পাশাপাশি ওই ওষুধ দুর্মূল্য।
জানা গিয়েছে আমেরিকা থেকে আমদানি করা ওই ওষুধের মূল্য ভারতীয় অর্থে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সেই ওষুধ আমেরিকা থেকে ভারতে আনার জন্য লাগবে জিএসটি। আর সেই জিএসটির পরিমাণ প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা।
এই দুর্মূল্য ওষুধের বিষয়ে তিরার বাবা গত অক্টোবর মাসে সকলকে জানান এবং অনুদান দিয়ে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান। বিভিন্ন সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় ওষুধের দাম ওঠে। কিন্তু জিএসটির টাকা এখনো অধরা। আর এমন পরিস্থিতিতে তিরার বাবা-মা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দ্বারস্থ হন। এরপর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে চিঠি দিয়ে ওই জিএসটির প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা মুকুবের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
Sincere gratitude to Hon PM @narendramodi ji for your humanitarian and extremely sensitive approach towards exempting all the taxes (approx ₹6.5 crore) for importing the life saving drug for Mumbai’s 5 month old Teera Kamat!
I wish Teera a speedy recovery & healthy life! pic.twitter.com/wxT8PsnSx5— Devendra Fadnavis (@Dev_Fadnavis) February 9, 2021
[aaroporuntag]
দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে দেওয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ‘তিরার জন্য আমদানিকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে।’