নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য রাজনীতির দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে একাধিক টলি তারকাকে কখনো বিজেপি, আবার কখনো তৃণমূলের দিকে সরাসরি ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে। গতকালই বিজেপিতে যোগ দেন যশ দাশগুপ্ত, পাপিয়া অধিকারী এবং সৌমিলি সহ একাধিক টলি তারকারা। আর এবার অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসা এই প্রথম নয়। এর আগে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন এবং সরাসরি রাজনীতির আঙ্গিনায় রয়েছেন। তিনি যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির পদে ছিলেন। তবে আজই তিনি কাকদ্বীপে অমিত শাহের সভায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে বিস্ফোরক এই অভিনেতা।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বাংলা থেকে অলক্ষী বিদায় করে লক্ষ্মী আনাই লক্ষ্য। বাংলায় কর্মসংস্থান নেই। বাংলার যুবকরা বাইরে চলে যাচ্ছে। তাদের ফেরাতে হবে। বাংলায় যে অলক্ষ্মীর প্রভাব রয়েছে তা কাটিয়ে লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে।”
এর পাশাপাশি তিনি ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি সাধারণ একটি ঘরের ছেলে। সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝি। আর সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বড় হাতিয়ার হল রাজনীতি। হাতে ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ রুখে দেওয়া যায় না।”
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি ২০১৪ সালে এই সকল স্বপ্ন নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন অনেক কিছু পরিবর্তন হবে। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, “শুধু রাস্তায় নীল সাদা রং ছাড়া আর কিছু হয়নি।” আর এসবের কারণেই তিনি হতাশ হয়ে তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে দেশ গড়ার কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন।
[aaroporuntag]
এখানেই শেষ নয় হিরণ চট্টোপাধ্যায় এটাও অভিযোগ করেছেন, তাকে কেবলমাত্র প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছে তৃণমূল। তার কথায় কেউ কান দেয়নি এমনটাও দাবি করেছেন তিনি। আর এদিন যখন তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন তখন তিনি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশও করেছেন।