নিজস্ব প্রতিবেদন : দীপক চক্রবর্তী, প্রথমেই তিনি একজন সংবাদ পাঠক। দূরদর্শনের সংবাদ পাঠ করতেন। এরপর অভিনয় জগতে এসে তিনি পরিচিতি লাভ করেন অভিনেতা চিরঞ্জিত হিসেবে। তারপর আবার রাজনৈতিক আঙ্গিনায় পা রাখা, হয়ে ওঠেন বিধায়ক চিরঞ্জিত।
আর এবার তিনি গোঁ ধরেছেন, ‘টিকিট পেলেই রাজনীতি করবেন। টিকিট না পেলে করবেন না।’ সেকথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েও দিয়েছেন। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন তিনি কী করবেন? সে নিয়েই অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেতা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “বুড়ো হয়ে গেছি সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।” তবে এদিন তিনি আবারও এটাও জানিয়ে দেন, ”টিকিট পেলে রাজনীতি করবো। টিকিট না পেলে করবো না।’ এরপরে সাংবাদিকরা জানতে চান রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে কি করবেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সোজাসাপ্টা জানান, “সিনেমা করবো, ছবি আঁকবো, কত কিছু করবো। আর টিকিট পেলেই রাজনীতি করবো। না পেলে করবো না।” অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই অভিনেতা বিধায়ককে একগুঁয়ে হয়ে পড়েছেন টিকিটের জন্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এই বিষয়টিকে নিয়ে কোন বাড়তি তাৎপর্য দিতে চাইছেন না বলেও জানিয়েছেন। কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, “যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথেই তিনি দলটা করেছেন। কিন্তু এখন যদি তিনি মনে করেন জনপ্রতিনিধি থাকলেই দল করবেন তবে দলের সাংগঠনিক কাজে সময় দিতে পারবেন না সেটা সম্পূর্ণ তার সিদ্ধান্ত।”
[aaroporuntag]
যদিও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে যখন দলবদলের পালা চলছে, সেই সময় ‘টিকিট না পেলে রাজনীতি করবো না’, চিরঞ্জিতের এমন মন্তব্যে জল্পনার সৃষ্টি করলেও, তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, “টিকিট না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তবে বিজেপি অথবা অন্য কোন দলে পা রাখবেন না।”