নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে। আর এই দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে শনিবার এক হাত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি শনিবার দলীয় কর্মসূচি নিয়ে রামপুরহাটে আসেন। আর সেখানেই তিনি পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যকে এক হাতে নেন। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করে বলেন, ‘দিদি জাতে মাতাল তালে ঠিক’।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় অধীর চৌধুরী বলেন, “মোদি করছিল সবকা সাথ সবকা বিকাশ। এখন বিরাট কোহলি আর মোদির ফারাক নাই। ওই দিকে বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে আর মোদি পেট্রোলের দামে সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে। রান্নার গ্যাস ৮০০ টাকা। তেলের দাম ১০০, ডিজেলের দাম বাড়ছে হু হু করে। ২৪ লাখ কোটি টাকা ছয় বছরে রোজগার করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। আপনাকে আমাকে ভাগ দিল? না।”
এর পরেই তিনি রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, “দিদি বলছে মোদি পেট্রোলের দাম বাড়াচ্ছে কেন? দিদির সরকার তো সেল ট্যাক্স নিচ্ছে। আপনি সেল ট্যাক্স একটু কমাচ্ছেন না কেন? দিদি কিন্তু জাতে মাতাল তালে ঠিক। মোদিকে গাল দেবে কিন্তু দর কমাবে না। বাজারে যান, দেখবেন জিনিসপত্রে আগুন লেগে গেছে। কারোর মাথা ব্যথা নেই।”
পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “দিদি এখন দলের সবাইকে বলে দিয়েছে ভোটের আগে যে যা চাইবে দিয়ে দাও। ভোট নেওয়ার জন্য ঘুষ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তারপর ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে দেখবো। ভোট যখন চলে যাবে আমরাও ভুলে যাবো। অসুবিধা কি আছে। দশ বছর ধরে মানুষের দুঃখের কথা মনে পড়েনি। দশ বছর ধরে মানুষের সমস্যার কথা মনে পড়েনি। এখন ভোটের আগে বলছে এই দেবো, সেই দেবো।”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে বিমল গুরুংয়ের উপর থেকে তুলে নেওয়া একাধিক মামলা প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “ভোটের স্বার্থে বিমল গুরুংকে শুধু খাতির করছেন এমনটা নয়। তার বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করছেন। এর নাম হলো মমতা ব্যানার্জি। সাপের গালেও চুমু খায়, ব্যাঙের গালেও চুমু খায়। বিশ্বাসঘাতক একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম মমতা ব্যানার্জি।”