নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের আসন্ন বিধানসভায় দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার দাবি তোলা হচ্ছে। এমনকি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসেও বারংবার এই একই দাবি করেছেন।
কিন্তু এর বাস্তবতা কতটা? সত্যিই কি তারা দু’শোর বেশি আসন পাবে? যদিও এই দাবির বাস্তবায়ন সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাবে নির্বাচনের ফলাফলের পর। তবে রবিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বৈঠকে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা নিয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা উঠে এলো।
রবিবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে সরকারিভাবে যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের তৃণমূল সরকার তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে করতে রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। আর এর ফলশ্রুতি হিসেবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে।
মূলত বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নিয়ে রবিবারের এই বৈঠক ছিল দেশজুড়ে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার রণকৌশল নির্ধারণ নিয়ে। আর এই বৈঠকে পাঁচ রাজ্য নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও বেশিরভাগ আলোচনায় হয় বাংলা নিয়ে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অনুপম হাজরা সহ অন্যান্যরা। বৈঠকের দিলীপ ঘোষের উপস্থিতির কথা থাকলেও তিনি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হাজির হননি।
[aaroporuntag]
এই বৈঠকে রাজ্য বিজেপির নেতাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিজেপির উপর মানুষের সমর্থন বাড়ছে। যে পরিস্থিতিতে দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বাংলার বিজেপি নেতাদের দেশের প্রতি গুরুদায়িত্বের কথা মনে পড়িয়ে দেন।