নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাতে দিনক্ষণ ঘোষণা না হওয়ার বিষয়টি লঘু হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসকদল তৃণমূল এবং তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে থাকা গেরুয়া শিবির প্রতিনিয়ত প্রচারের প্রতিদ্বন্দিতা চালাচ্ছে রাজ্যে। আর এরই মাঝে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আর কোনরকম সময় ব্যয় না করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই পুরোদমে রাজ্যে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি। মার্চ মাসের ২ তারিখে মালদহে জনসভা করবেন যোগী আদিত্যনাথ। এমনকি ওই সভাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপির তরফ থেকে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
এমনিতেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কয়েক মাস আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। এবার এই তালিকায় নাম উঠে আসছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, গিরিরাজ সিং সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাদের।
এর পাশাপাশি সূত্র মারফত এটাও জানা যাচ্ছে যে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় প্রচারের জন্য আলাদা করে তিনটি হেলিকপ্টার আনা হচ্ছে। যার মধ্যে একটি হেলিকপ্টার থাকবে কেবলমাত্র দিলীপ ঘোষের জন্য। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি জন্য তার ব্যবহৃত হবে।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে অন্তর্বর্তী সমীক্ষা চালিয়ে ১১০ টি বিধানসভা কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলিতে তৃণমূল-বিজেপি কড়া টক্কর হতে চলেছে। আর এই সকল কেন্দ্রগুলিকে বেছে নেওয়ার পর ওই সব এলাকায় দ্বিগুণ শক্তি প্রয়োগ করতে চাইছে বিজেপি। আর এই ১১০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের তালিকা বিজেপির তরফ থেকে প্রকাশ্যে আনা না হলেও দ্বিগুণ শক্তি প্রয়োগের পরিকল্পনা আসলেই মুকুল রায় মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই জানা যাচ্ছে।