নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে নাকে অক্সিজেনের নল নিয়ে এসেছিলেন তিনি। আর এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার রবিবার ব্রিগেডে বামেদের সমাবেশ। তবে এবার আর তিনি সশরীরে আসতে পারবেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সশরীরে এই ব্রিগেডের সমাবেশে আসতে না পারলেও তার মন এখানেই পড়ে। তাইতো বুদ্ধ বাবু শেষ বেলায় বার্তা পাঠালেন।
ব্রিগেড সমাবেশের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বার্তা পাঠিয়ে লিখেছেন, “ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গৃহবন্দী। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দী যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। আমি নিশ্চিত সমাবেশ সফল হবেই।”
মূলত তিনি রবিবারের এই ব্রিগেড সমাবেশে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পেরে মানসিক যন্ত্রণার কথা প্রকাশ করেছেন। মানসিক যন্ত্রণা প্রকাশের পাশাপাশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞতার সাথে তিনি এই সমাবেশ সফল হবে এমনটাই মনে করছেন। শুধু মনে করা নয় সাফল্য কামনা করতেও দেখা গেছে তাকে।
অন্যদিকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য প্রসঙ্গে সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিম বলেছেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুধু একটা নাম নয়। তিনি এমন একজন নেতা যার বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বহু নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তিনি ব্রিগেড সমাবেশে এলে তা আমাদের জন্য খুব খুশির খবর হতো।”
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শেষবার তিনি ব্রিগেড সমাবেশে নাকে অক্সিজেনের নল নিয়ে উপস্থিত হলেও গাড়ি থেকে নামতে পারেননি। গাড়ির ভিতরে শুয়ে শুয়েই ব্রিগেডে অংশগ্রহণ করেন। আর এবার গত ডিসেম্বর মাসেই তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে কিছুদিন পরেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও বর্তমানে তার যা শারীরিক অবস্থা তাতে তিনি ব্রিগেডের ধকল নিতে পারবেন না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রয়েছে চোখের সমস্যা।