নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের এমন কড়া দুটি পদক্ষেপ নজরে এসেছে। একটি হল রাজ্য পুলিশের রদবদল, শনিবার রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদ থেকে জাভেদ শামীমকে সরিয়ে দেওয়া আর দ্বিতীয়টি হল অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারি।
শনিবার থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার কাজ শুরু করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এদিন বোলপুরে কোয়াক ডাক্তারদের নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের একটি সমাবেশ ছিল। জানা যাচ্ছে সেখান থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। কমিশনের ২ প্রতিনিধি অনুব্রত মন্ডলের সভার ভিডিওগ্রাফি এবং অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য ক্যামেরাবন্দি করার কাজ শুরু করেছেন।
ভোটের সময় বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে নজরবন্দি অথবা গৃহবন্দী করার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। আর এনিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের থেকে প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে। মজার ছলে তিনি জানিয়েছেন, “ওদের ভালো লাগছে। আসছে। দুটোতে হবে? এত লোক! পিছনে কে কি বললো শুনতে পাবে না তো! দশটা করে দিক। দুটোতে কি হবে? আমি সামনে এক কথা বলি, পিছনে তো অন্য কথা বলবো, সাইডে অন্য কথা বলবো।”
এরপর এই প্রশ্ন ওঠে যদি নির্বাচন কমিশন গৃহবন্দী করে দেয় তাহলে কিভাবে খেলা হবে? আর এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া জবাবে বলতে শোনা যায়, “ঘরবন্দী! ঘরবন্দী কি জন্য করবে? চোর না ডা’কাত? যা মন তাই করতে পারে? আমরা কি বোকা? আমাদের বুদ্ধি নাই? আমরা আইন জানি না? যত আইন ওরা জানে! সব আইন ওই দাড়িওয়ালাটার কাছে আছে? সাধারণ মানুষের কাছে আইন নাই?”
[aaroporuntag]
মোটের উপর চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট তৎপর নির্বাচন কমিশন। আর তারই প্রতিফলন ধীরে ধীরে নজরে আসছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।