নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই শাসক এবং বিরোধী সব পক্ষই গুটি সাজাতে শুরু করেছে। কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে প্রার্থী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে প্রতি বছরই লক্ষ্য করা যায় শাসকদলই আগাম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দেয়। আর সেই মতো এবছরও মনে করা হচ্ছে শাসক দল তৃণমূলই প্রথম তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। মনে করা হচ্ছে বুধবার অর্থাৎ আজই প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল।
আর এই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকাতেই থাকতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এমনটাও শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নন্দীগ্রামের জনসভা করতে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে তিনি ভোটে প্রার্থী হতে চান। আর যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে এই নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটের প্রার্থী হবেন তিনি। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকে তিনি প্রার্থী হলে আগামী ১১ মার্চ শিবরাত্রির দিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানিয়ে ছিলেন, মমতা ব্যানার্জি যদি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হন সেক্ষেত্রে ওই আসনে বিজেপির যেই প্রার্থী হোক না কেন মমতা ব্যানার্জিকে ৫০ হাজার ভোটে হারাবো। আর এই চ্যালেঞ্জের পরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে নন্দীগ্রামে যদি মমতা ব্যানার্জির প্রার্থী হন সেক্ষেত্রে তার বিপক্ষে বিজেপির কে প্রার্থী হতে চলেছেন? আর এরই উত্তর দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
মঙ্গলবার বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাংবাদিক বৈঠকের সময় নন্দীগ্রামে প্রার্থীকে হবেন এই প্রশ্ন উঠলে দিলীপ ঘোষ জানান, “নন্দীগ্রাম আসনের জন্য বিবেচনায় রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীই নাম। তবে এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত নয়।” অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের কথা অনুযায়ী নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী হতে পারেন।
[aaroporuntag]
আর এমনটা যদি হয় তাহলে নন্দীগ্রামের লড়াইটা বেশ রোমাঞ্চকর হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয়তা আর অন্যদিকে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী এবং অধিকারী পরিবারের প্রাধান্য। তবে যদি তারা দুজনে সম্মুখ সমরে সামিল হন তাহলে এর ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়েও বেশ উৎসাহ যোগাচ্ছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। আর ভোটের ফলাফলের পর বোঝা যাবে মমতা ব্যানার্জির ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ, নাকি শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা চ্যালেঞ্জ কোনটা বাস্তবায়িত হয়।