সখের দাম লাখ টাকা, বিয়ের পর স্কুটি চালিয়েই শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ

Sangita Chowdhury

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলির মধ্যে বেশকিছু ভিডিও থাকে প্রতিভাকেন্দ্রিক, বেশকিছু সেলেব মূলক, আবার কোনটা মানবিক। আবার কিছু ভিডিও থাকে যেগুলি সমাজে একটা বার্তা দেয়, সমাজে একশ্রেণীর মানুষের অগ্রগতিকে জনসমক্ষে তুলে ধরে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিও একেবারে সেই রকম। পাশাপাশি এই ভিডিওতেও প্রমাণ হয় ‘সখের দাম লাখ টাকা’।

Advertisements

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি একেবারে উল্টোপূরাণ, গতানুগতিক মানসিকতার বাইরে। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছিল নববধূকে বাইকের পিছনে বসিয়ে বাড়ি ফিরলেন বর। আর সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নববধূ বরকে স্কুটিতে বসিয়ে নিজে স্কুটি চালিয়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও সমাজ বদলের ইঙ্গিত দেয়।

Advertisements

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে লাল রঙের বেনারসি পরেছেন নববধূ সুদেষ্ণা সরকার। তার গা ভর্তি সোনার গয়না আর সোলার মুকুটের মধ্যে চোখে পড়ছে মাথাভর্তি সিঁদুর। বিদায়ের পরই স্কুটির পিছনে বরকে বসিয়ে বাগডোগরায় শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন সুদেষ্ণা দেবী।

Advertisements

আর এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও করলেন সুদেষ্ণার দাদা সৌত্রিক বসু। আর তারপর এই ঘটনার ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। এই প্রসঙ্গে সৌত্রিক বসু জানিয়েছেন, “বোন স্কুটি চালাতে ভালবাসে। তাই আমরা কেউ ওর ইচ্ছাতে বাধা দিইনি। এমনকি শ্বশুরবাড়ি থেকেও কেউ বাধা দেয়নি। বরং সকল এই বিষয়টি খুবই মজার ছলে নিয়েছেন। বরং সকলে ওর ভাবনাকে সমর্থন করেছেন।”

সুদেষ্ণার বর‌ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ বাবু ও এই পুরো ঘটনাটি ভীষণ ভাবে উপভোগ করেছেন। তার কথায়, “বিয়ের আগেই নিজের ইচ্ছের কথা আমাকে জানিয়েছিল সুদেষ্ণা। আমিও রাজি হয়ে যাই। সেই মতই বাসি বিয়ে শেষ হতেই বিয়ের সাজে বেরিয়ে পড়েছিলাম। গোটা বিষয়টা এত উপভোগ্য হবে ভাবি নি।”

আর এই সমস্ত কান্ডের মূলে যিনি, সেই সুদেষ্ণা দেবীর কথায়, স্কুটি চালানোটা তার প্যাশন। তিনি আগাগোড়াই স্কুটি চালাতে ভালোবাসেন।আগেই ভেবে রেখেছিলেন যে নিজের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটিকে আরও বেশি করে আনন্দ মুখর করে তুলতে এমনটাই করবেন তিনি।

[aaroporuntag]
আর তিনি তার এই ভাবনাকে তিনি বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। এরকম একটি অভিনব ঘটনায় সকলেই নববধূর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অবদানও ভুলবার নয়।সুদেষ্ণা দেবীর স্বামী এবং তার শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকে সুদেষ্ণা ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে পাশে থেকেছিলেন বলেই এরকম একটি অভিনব কাজ তিনি করে দেখাতে পেরেছেন।

Advertisements