নিজস্ব প্রতিবেদন : কালীঘাট থেকে শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর লক্ষ্য করা যায় কমকরে ২৮ জন বিধায়কের নাম বাদ পড়েছে প্রার্থী তালিকা থেকে। আর এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ নজরে এসেছে। আর এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝেই একাধিক তৃণমূল নেতা নেত্রী ইতিমধ্যেই ঠিক করে নিয়েছেন দলবদলের। আর এই দলবদলের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ জন্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
টিকিট না পেয়ে যে সকল তৃণমূল নেতা নেত্রীরা বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালী গুহ। শনিবার তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রার্থী হতে চাই না, স্রেফ বিজেপির হয়ে প্রচার করতে চাই।’
একই সুর শোনা গিয়েছে সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ীর মুখেও। জটু লাহিড়ীও জানিয়েছেন, “বিজেপি প্রার্থী করুক চাই না করুক তিনি বিজেপিতে যাবেন। তৃণমূল সরকারের যত তাড়াতাড়ি পতন হবে ততোই দেশের মঙ্গল।” পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন, “মমতা জিতবে না।”
এর পাশাপাশি টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ একাধিক তৃণমূল নেতা, যাদের মধ্যে রয়েছেন আরাবুল ইসলাম, বিক্ষুব্ধ বনগাঁ বিধানসভার শঙ্কর আঢ্যর অনুগামীরা, আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান, সুপ্রকাশ গিরি, নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস সহ আরও বেশ কয়েকজন।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর টিকিট না পেয়ে সুপ্রকাশ গিরি ফেসবুকে লিখেছেন, “মজা করে বন্ধুরা বলতাে পয়সা না থাকলে রাজনীতি করতে যা না, আজ পারফরম্যান্সকে হার মানতে হলাে পয়সার কাছে। আজ বুঝলাম পারফরম্যান্সের কোনাে দাম নেই এই যুগে।”
[aaroporuntag]
তবে বিক্ষুব্ধরা সকলেই দলত্যাগ করছেন কিনা অথবা দলত্যাগ করে বিজেপির পথে পা বাড়াচ্ছেন কিনা তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও মোটামুটি বেশ কয়েকজনকে জল্পনা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে। অন্যদিকে শনিবারই বিজেপিতে যোগদান সোনামুখী বিধানসভার বিধায়ক দিপালী সাহা এবং তার অনুগামী কনিষ্ক মজুমদার সহ একাধিক কর্মীরা।