নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের নলহাটি বিধানসভার বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস শুক্রবার তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর সেই প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পাননি। যার পরেই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক লাইভ করে দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে দলত্যাগ করার ঘোষণা করেন।
দলত্যাগের ঘোষণার পাশাপাশি তিনি আসন্ন বিধানসভায় প্রার্থী হবেন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও ঘোষণা করেন। যার পরেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে তিনি কোন দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, নাকি নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন? এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ফেসবুক লাইভেই তিনি জানান, আগামী দু’দিনের মধ্যে পুরো বিষয়টি পুনরায় ফেসবুক লাইভে নলহাটির বাসিন্দাদের জানাবেন।
এরপর তিনি সটান ফরওয়ার্ড ব্লকের দপ্তরে হাজির হন বলে জানা যায়। মইনুদ্দিন শামসের বাবা কলিমুদ্দিন শামস ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মইনুদ্দিন শামসও একসময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন। কিন্তু পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং ২০১৬ সালে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি বিধায়ক হন।
তবে শনিবার তৃণমূল ত্যাগের পর ফরওয়ার্ড ব্লক দপ্তরে হাজির হয়ে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু মইনুদ্দিন শামস নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দলের হাল খারাপের সময়েও নিজেদের আদর্শের সাথে আপোষ করতে নারাজ ফরওয়ার্ড ব্লক। মইনুদ্দিন শামসের প্রস্তাব পত্র মারফত খারিজ করে দেন তারা। যার পরে খালি হাতেই ফিরতে হয় মইনুদ্দিন শামসকে।
[aaroporuntag]
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য উনি এসেছিলেন। কিন্তু দল ছেড়ে চলে যাওয়া সহজ, ফেরত আসা এতটা সহজ নয়। এইভাবে আমরা কাউকে দলে ফেরাতে পারি না। টিকিট না পেয়ে ইতিমধ্যেই অনেকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। দুঃসময়ে তারা চলে গিয়েছিলেন। আর এখন সংযুক্ত মোর্চার কথা ভেবে ফিরতে চাইছেন।”