নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির ডাকা রবিবার মোদির ব্রিগেড সমাবেশে একঝাঁক তারকা’র উপস্থিতি নিয়ে দিন কয়েক ধরেই জল্পনা চলছে। প্রথম থেকেই জল্পনা তৈরি হয় বাঙালি তিন মহাতারকা সৌরভ, মিঠুন ও প্রসেনজিৎ এই ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন। যদিও সৌরভের থেকে বার্তা এসেছে থাকবেন না এমনটাই, প্রসেনজিৎ এখনো কিছু জানাননি। তবে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী ব্রিগেডে উপস্থিত থাকার জন্য শনিবার রাতেই বাংলায় পা রেখেছেন। এখন জল্পনা তিনি আজই বিজেপিতে যোগ দেন কিনা।
শনিবার রাতে বাংলায় পা রেখেই মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে এক দফা বৈঠক সেরে নেন। বৈঠকের পর কৈলাস বিজয়বর্গীয় সেই বৈঠকের কথা ট্যুইট করে জানিয়েছেন এবং মহাগুরুর দেশ ভক্তির প্রশংসা করে লিখেছেন, “মধ্যরাত পর্যন্ত সিনেমা জগতের অন্যতম বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন দার সাথে বৈঠক হলো। উনার দেশের প্রতি ভক্তি এবং হত দরিদ্র মানুষদের প্রতি ভালোবাসা দেখে মন ভরে গেল।”
ব্রিগেডের ঠিক আগে মুম্বই থেকে কলকাতায় আসা এবং বিজেপি নেতাদের সাথে এক দফা বৈঠক করে নেওয়া মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা বাড়ছে বৈ কমছে না। যদিও কোনো পক্ষই এখনই স্পষ্ট করেননি সরাসরি নাকি পরোক্ষভাবেই গেরুয়া শিবিরের হয়ে আসরে নামবেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।
अभी देर रात कोलकाता के बेलगाचिया में सिनेमा जगत के माशूर अभिनेता मिथुन दाँ के साथ लम्बी चर्चा हुई ।
उनकी राष्ट्र भक्ति और ग़रीबों के प्रति प्रेम की कहानियाँ सुनकर मन गद-गद हो गया । pic.twitter.com/1REwfpZNax— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) March 6, 2021
[aaroporuntag]
মিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক জীবনের প্রেক্ষাপট নজরে আনলে দেখা যাবে বাম আমলে তিনি বাম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরে বাম সরকারের পতনের পর তৃণমূল সরকার এলে তৃণমূল সরকার ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। তবে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা তার কাছে সুখকর হয়নি। এরপর হঠাৎ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দেন। বেশ কয়েক বছর অন্তরালে চলে যান। আর এবার তিনি ফের সম্মুখে যখন বঙ্গ রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।