হিমাদ্রি মণ্ডল : ফের একবার মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটলো বীরভূমে। এবার চোরেদের নিশানায় সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর নিকটস্থ বেহিরা নিম্ববাসিনি কালী মন্দির। এলাকার আবেগ এই কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়। তাদের প্রশ্ন রাতে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রহরায় থাকা সত্ত্বেও কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটলো? পাশাপাশি তাদের দাবি অবিলম্বে এই চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মন্দিরের পুরোহিত মন্দিরে পুজো করার সময় এলে দেখতে পান মন্দিরের দরজা জানলা ভাঙ্গা। তারপর মন্দিরে প্রবেশ করতেই নজরে আসে মায়ের সমস্ত সোনার গয়না, প্রণামী বাক্সে থাকা টাকা পয়সা সব চুরি গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মন্দির কমিটির সদস্যদের খবর দেন। মন্দির কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান চুরির আগে দুষ্কৃতীরা CCTV ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মন্দির কমিটির সদস্যদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, মন্দিরের এই চুরির ঘটনায় প্রণামী বাক্সে থাকা টাকা পয়সা ছাড়াও কম করে পাঁচ থেকে ছয় ভরি মায়ের সোনার গয়না নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি তাদের অনুমান বেশ কিছু সময় ধরেই দুষ্কৃতীরা এই কাজ চালিয়েছে। কারণ সোনার গয়না ছাড়া মায়ের গায়ে যে সকল লোহা বা পিতলের অলংকার ছিল সেগুলিকে বেছে বেছে মন্দিরে রেখে দিয়ে গেছেন তারা।
পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছেন, পুলিশের তরফ থেকে দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই মন্দিরে রাতে প্রহরার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারাও গতকাল রাতে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও কিভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটলো তা নিয়েই তারা প্রশ্ন তুলছেন।
[aaroporuntag]
ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মন্দির কমিটির সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ নথিভুক্ত করেন। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে এই চুরির ঘটনায় তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়। পুলিশের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে মন্দির কমিটির সদস্যরা আশ্বস্ত হন।