নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। বুধবার তিনি তমলুক মহকুমা শাসকের কাছে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী তিনি হলফনামা পেশ করেছেন। যে হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত টাকার মালিক অর্থাৎ তার কাছে কত নগদ, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
গত বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হলফনামা পেশ করেছিলেন তার সঙ্গে এবারের হলফনামার তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সম্পদ কমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সম্পদ যখন গুণিতক আকারে বাড়ছে সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পদের অর্ধেক হয়ে যাওয়ার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের মোট সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন তাতে তিনি ১৬.৭২ লক্ষ টাকার উল্লেখ করেছেন। যা ২০১৬ সালের হলফনামায় ছিল ৩০,৪৫,০১৩ টাকা অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৩০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সম্পদ কমেছে প্রায় ১৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার বেশি।
২০২১ সালে পেশ করা হলফনামায় অনুযায়ী বর্তমানে তার হাতে নগদ রয়েছে ৬৯,২৫৫ টাকা। ব্যাঙ্কে থাকা অর্থের পরিমাণ ১৩.৫৩ লক্ষ টাকা। অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং গয়নার পরিমান যথাক্রমে ১৮,৪৯০ টাকা এবং ৪৩,৮৩৭ টাকা।
২০১৬ সালের মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা অনুযায়ী হাতে থাকা নগদের পরিমাণ ছিল ১৮,৪৩৬ টাকা। তিনটি ব্যাঙ্কে রাখা অর্থের পরিমাণ ছিল ২৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৩১ টাকা। NSS, Postal Savings এই সকল খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৪৯০ টাকা। গয়নার ক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগ ছিল ২৬ হাজার ৩৮০ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য সম্পত্তির পরিমাণ ছিল টাকার হিসেবে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮ টাকা।
[aaroporuntag]
আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই হলফনামা পেশ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তাতে তিনি দেশের মধ্যে সবথেকে কম সম্পদশালী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এবারও পরিগণিত। আর এমনটা বেশ নজির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।