Mamata Banerjee র আহত হওয়ার ঘটনায় লাভবান কারা? কি বলছে সমীক্ষা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হন গত বুধবার। ঘটনার পর তাকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে কিসের জন্য। তারপর চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়।

Advertisements

Advertisements

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভাবে আহত হওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে চরম বিতর্ক তৈরি করেছে। তৃণমূল নেত্রীর নিজে অভিযোগ করেছিলেন, ‘চার-পাঁচজন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। তারা ইচ্ছেকৃতভাবে তাকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং সেই ধাক্কায় তার তিনি গুরুতর আহত হন। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।’

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পর তৃণমূল নেতা কর্মীরা রাস্তায় নামেন। প্রতিবাদ শুরু করেন। জেলায় জেলায় প্রতিবাদ মিছিল হয় এবং বিক্ষোভ দেখাতেও ছাড়েননি তারা। তবে বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনাকে নাটক বলে অভিহিত করা হয়। শুধু বিজেপি নয় একই মত পোষণ করতে দেখা যায় একাধিক কংগ্রেস ও বাম নেতাদের। তবে এই দাবি এবং পাল্টা দাবির পরিপেক্ষিতে আখেরে কারা বেশি লাভবান হচ্ছেন? সেটাই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়।

সম্প্রতি এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটার এই ঘটনাকে নিয়ে একটি জনমত সমীক্ষা করেছে। যে সমীক্ষায় দাবি এবং পাল্টা দাবি প্রশ্নের পরিপেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে ৪৪ শতাংশ মানুষ সত্যি বলে মান্যতা দিয়েছেন। একইভাবে বিজেপির দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন ৩৯ শতাংশ মানুষ। সুতরাং দুই পক্ষের দাবির মান্যতাই ৫ শতাংশ তফাৎ রয়েছে। অন্যদিকে ১৭ শতাংশ মানুষ কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। আর এই বিজেপির দাবির স্বপক্ষে মত পোষণ করেছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। বিপক্ষে মত পোষণ করেছেন ২৯ শতাংশ মানুষ। বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ২২ শতাংশ মানুষ।

এখন প্রশ্ন হল এই ঘটনার পর নন্দীগ্রামের বিধানসভা নির্বাচনে কারা বেশি লাভবান হবেন? এর পরিপ্রেক্ষিতে সি ভোটার জনমত সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে ৪৪ শতাংশ মানুষ শাসকদল তৃণমূল লাভ হবে বলে মনে করছেন। ৩৪% মানুষ মনে করছেন এই ঘটনার পর বিজেপির লাভ হবে। অন্যদিকে ১২% মানুষ মনে করছেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী লাভবান হবেন। আর বলতে পারবেন না বলেছেন ১০ শতাংশ মানুষ।

[aaroporuntag]
তবে এই জনমত সমীক্ষার পক্ষে এবং বিপক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিভিন্ন মতামত পোষণ করতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন শেষ পর্যন্ত ভোটারদের কাছে কি বার্তা যায় সেটাই এখন দেখার। আর তা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।

Advertisements