নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা শনিবার কলকাতায় এসে তৃণমূল ভবনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নাম লেখালেন। যা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নয়, এর পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি Mamata-র এক অজানা কাহিনী তুলে ধরলেন।
প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে বিজেপির সম্পর্ক শেষ হয় ২০১৮ সালে। আসলে দলের সাথে তার মনোমালিন্য শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকেই। যে সময় বিজেপি কংগ্রেসকে নির্বাচনে ধরাশায়ী করে সরকারে আসে। আর তখনই বিজেপির প্রধান মুখে হয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। আর প্রধানমন্ত্রীর আসনে নরেন্দ্র মোদি বসতেই ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক আরও তলানীতে ঠেকতে শুরু করে।
অন্যদিকে বিজেপির সাথে সম্পর্ক তলানীতে ঠেকার পাশাপাশি তার সাথে সখ্যতা তৈরি হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০১৮ সালে বিজেপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর একাধিকবার মমতার হয়ে তাঁকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে থাকে প্রচার করতে দেখা যায়। তিনি মমতাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতেও চেয়েছিলেন। যদিও তা সফল হয়নি, তবে তিনি এদিন তৃণমূলে যোগদানের পর বলেন, “আমি নিশ্চিত, বাংলার নির্বাচনে তৃণমূল বড় সাফল্য পাবে। বাংলার ভোট গোটা দেশের ভবিষ্যতের জন্যও ভীষণ জরুরি। বাংলা থেকে ২০২৪-এ দিল্লিতে পরিবর্তন হবে।”
[aaroporuntag]
আর এসবের পাশাপাশি মমতার অজানা কাহিনী বলতে গিয়ে তিনি জানান, “মমতা শুরু থেকেই একজন ফাইটার। কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় তিনি নিজে পণবন্দি হিসেবে যেতে চেয়েছিলেন। জঙ্গিদের হাত থেকে বন্দিদের ছাড়ানোর জন্য নিজে আত্মত্যাগ করতে রাজি ছিলেন মমতা।”