নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। আর এই কড়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই একাধিক উচ্চপদস্থ রাজ্য পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্যান্যদের এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর করোনাকালে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলো নির্বাচন কমিশন।
বরাবরই অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়ও পশ্চিমবঙ্গে ভোটদানের হার অনেকটাই বেশি থাকে। আর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই ভোটদানের হারকে মাথায় রেখে এবার নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে। মূলত দীর্ঘ লাইনের কথা মাথায় রেখেই এই দু’ভাগে ভাগ করার পথে হেঁটেছে কমিশন। দু’ভাগে ভাগ বলতে ভোট কেন্দ্রকে প্রথম ১০০ মিটার এবং পরবর্তী ১০০ মিটার এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
আর এই দু’ভাগে ভাগ করার পাশাপাশি কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রথম ১০০ মিটারে রাজ্য পুলিশের কোনো ভূমিকা থাকবে না। প্রথম ১০০ মিটারে লাইন থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত কিছু সামলাবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা জওয়ানরা। পরবর্তীতে ১০০ মিটার চিহ্নিত করা হবে তার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পুলিশের পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি কোন রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী বুথ এবার থাকবেনা ২০০ মিটারের মধ্যে।
[aaroporuntag]
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ক্ষেত্রে বরাবরই পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বিরোধীরা বারংবার অভিযোগ করে থাকেন পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় মোতায়েন হয় না। আর এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া পথে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে কমিশনকে। আর কমিশনের এমন একাধিক সিদ্ধান্ত শাসক দলকে ক্ষুব্ধ করলেও বিরোধীদের সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।