নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বৃহস্পতিবার বিজেপি দুই দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। সেই প্রার্থী তালিকায় একাধিক চমক লক্ষ্য করা যায়। চমক হিসেবে ফুটে উঠেছে শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, রুদ্রনীল ঘোষ সহ একাধিক তারকার নাম। চমক হিসেবে দেখা গিয়েছে পোড়-খাওয়া রাজনীতিক রাহুল সিনহার নাম। কিন্তু এর থেকেও বড় চমক হলো মুকুল রায়ের প্রার্থী হওয়া।
মুকুল রায়কে সাধারণত ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায় না। তিনি রাজনীতির চাণক্য হিসেবে যেমন তৃণমূলের সংগঠকের কাজ করেছিলেন, ঠিক সেইভাবেই বিজেপিতে যোগদানের পরও তাকে একই কাজ চালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। তবে এবার এই চাণক্যই বিজেপির প্রার্থী। তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর পূর্ব থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এমনটাও নয় যে এর আগে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি।
দীর্ঘ ২০ বছর আগে তাকে শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে দেখা গিয়েছিল। ২০০১ সালে তিনি শেষবার জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। কিন্তু তারপর থেকে আর তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়নি, বরং দলের সাংগঠনিক সেনাপতি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপর দলের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতেও তিনি সাংগঠনিক সেনাপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তৃণমূলকে ভেঙ্গে ফেলা এবং ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভালো ফলাফলের অন্যতম কারিগর তিনি।
মুকুল রায়ের শেষবার ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল কি হয়েছিল
[aaroporuntag]
শেষবার তিনি যখন ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন সেবার তাকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল। তিনি পরাজিত হয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাসের কাছে। বামফ্রন্টের সেই জামানায় তিনি ৫৬৭৪১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। আর এরপর থেকেই তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। আর একুশের যখন বিজেপি বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে তখন তার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা বেশ তাৎপর্য বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।