লক্ষ লক্ষ টাকা আয় বাড়াতে দিশা দেখাচ্ছে কেন্দ্র সরকারের গোবর্ধন প্রকল্প

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রামীণ মানুষের আয় বাড়াতে পথ দেখাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প। ঠিক এমনই এক প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আনা হয়েছে যাতে গবাদি পশু পালন এবং বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে আয় বাড়াতে সাহায্য করবে। মূলত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তালে তাল মিলিয়ে বাড়ছে চাহিদা। আর এই চাহিদা পূরণের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বেছে নেওয়া হচ্ছে নানান কৃত্রিম উপায়। এসকল কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগের কারণে যেমন কমে যাচ্ছে পুষ্টিগুণ, ঠিক তেমনি নানান অসুখ-বিসুখ দানা বাঁধছে। এই সকল পরিস্তিতি থেকে রক্ষা করার জন্য অর্গানিক ফার্মিং-এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্য নিয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে গোবর্ধন স্কিম বা প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

Advertisements

২০১৮ সালে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। এই প্রকল্পের অনেকগুলি লক্ষ্য রয়েছে যেমন গবাদি পশু পালন, অর্গানিক চাষাবাদ এবং জৈব বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস তৈরি। এই সমস্ত বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে দেশের মানুষদের বিস্তারিত জানানোর জন্য একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে। যেখানে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর পাশাপাশি কিভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রোজগার হবে তাও বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, গোবর্ধন প্রকল্প থেকে আগামী পাঁচ বছরে চাষীদের এক লক্ষ কোটি টাকা বাড়তি আয় হতে পারে। আর এই আয় কিভাবে হতে পারে তা জানাতে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছেন।

Advertisements

১) অর্গানিক উপায়ে চাষ করা ফল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, মধু ইত্যাদির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেক্ষেত্রে কোনরকম কৃত্রিম বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে এসকল চাষের দিকে জোর দিতে হবে।

২) এই পদ্ধতিতে কোয়েল মুরগি থেকে শুরু করে গরু প্রতিপালন করা যেতে পারে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ভালো দাম থাকার পাশাপাশি গরুর প্রতিপালন করা হলে গরুর দুধ থেকে ঘি মাখন ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায় ঠিক তেমনি গোবর থেকে জৈব সার এবং গোমূত্র থেকে কীটনাশক তৈরি করা যেতে পারে।

৩) অর্গানিক চাষের অন্যতম লক্ষ্য হল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ জৈব বর্জ্যের ব্যবহার। জৈব বর্জ্য হলে তা সহজেই প্রকৃতিতে মিশে যায়। আর তা দিয়ে সহজেই সার তৈরি হয়। তবে শহুরে পরিবেশে বর্জ্য অনেকটাই প্লাস্টিক হওয়ায় সে ক্ষেত্রে যে সকল সংস্থা বর্জ্য সংগ্রহ করে এবং প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বর্জ্য পৃথক করে দেয় তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।

৪) আখ থেকে ইথাইল তৈরি যেতে পারে। আখ থেকে চিনি তৈরি করার পর অতিরিক্ত আখ দিয়ে ইথাইল তৈরি করার কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে চাষীরা অনেকটাই লাভের মুখ দেখবেন। কারণ পেট্রোল এর সাথে ১০ শতাংশ ইথাইল মেশানো যেতে পারে।

[aaroporuntag]
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখতে পারেন চাষিরা ঠিক তেমনি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকটা এগোবে। এই প্রকল্প চাষাবাদ পশু পালন এবং বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে নতুন পথের সূচনা করতে পারে।

Advertisements