নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল থেকেই অনুব্রত গড় বীরভূমের একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। জেলার একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। আর এই প্রতিটি ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে মুখ খোলে এবং বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে এই সকল ঘটনার জন্য।
গতকাল নানুরের বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার সমর্থনে মিছিল হলে বাসাপাড়া গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রাতে ওই মিছিলে অংশগ্রহণ করার অপরাধে বাসাপাড়া সংলগ্ন হাটসেরান্দি, সুচপুর, কুড়গ্রাম, লেইলিপাড়া একাধিক গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অভিযোগ চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ। বাড়ির উঠোনে তাজা বোমা, বোমার সুতলি পরে থাকতেও দেখা যায়।
এর পাশাপাশি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের লাঠি, লোহার রোড দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বেশকয়েক জন কর্মী গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এধরনের ঘটনায় নতুন করে অগ্নিগর্ভ বীরভূমের নানুরে।
অন্যদিকে গতকাল রাতে সিউড়ি ২ নং ব্লকের পুরন্দরপুর এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং প্রার্থী অপছন্দের কারণকে দায়ী করে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেছে।
[aaroporuntag]
একইভাবে বীরভূমের মুরারই বাজার এলাকায় গতরাতে আক্রান্ত হন বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি এদিন একটি মন্দিরে প্রণাম করে বাড়ি ফেরার পথে ১০ জন দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। আক্রান্ত ওই বিজেপি নেতা দাবি করেন, বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে মারধর করা হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মুরারই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।