নিজস্ব প্রতিবেদন : তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীদের। ঠিক সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ হয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার খবরে। বলা হয়, চলতি মাসের শেষে সেই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং এপ্রিলের শুরুতেই বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা আমফনের মতই হওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই খবরে বারংবার দাবি করা হচ্ছিল, বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে তার নামকরণ হবে ‘টাউকতে’। আর এর শক্তি হতে পারে একেবারে আমফনের মতই। ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। আর এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই গত বছরের স্মৃতি উস্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের বাসিন্দা। আর তা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললো আলিপুর হাওয়া অফিস।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত এই যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। আগামী দশ দিন বাংলায় কোনো রকম ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর কোনরকম ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকলে আগে থেকেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জনসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং হবে।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, বাংলায় এর আগেও একাধিক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে। এমনকি গত কয়েক বছরে আয়লা, আমফন সহ এইসকল একাধিক ঘূর্ণিঝড় বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও ডেকে এনেছে। আর এদের মধ্যে অবশ্যই গতবছরের করোনাকালে আমফানের স্মৃতি এখনো ডগডগে। আর এমত অবস্থাতেও নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের খবর রাজ্যের বাসিন্দা তাদের কপালে ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছিল। তবে এটাও ঠিক যে মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত আবহাওয়ার কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সম্ভাবনাও থাকে।