নিজস্ব প্রতিবেদন : সবে রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। গতকাল অর্থাৎ শনিবার প্রথম দফার ভোটে ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আর এই ভোটগ্রহণের পর প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে তাদের ঝুলিতে কতগুলি আসন আসতে পারে তা নিয়ে। কতগুলি আসন আসতে পারে তা বোঝা যাবে আগামী ২রা মে, যেদিন গণনা। তবে এতদিন ধৈর্য ধরতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি তড়িঘড়ি রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন ৩০টি আসনের মধ্যে কতগুলি আসন আসতে আসতে চলেছে বিজেপির ঝুলিতে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অমিত শাহ ঘটা করে দাবি করেন, প্রথম দফা ভোট গ্রহণে ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসন পেতে চলেছেন তারা। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান রাজ্যে যে ২০০টি আসনের টার্গেট নেওয়া হয়েছে তা পূরণ করতে চলেছে বিজেপি। সেই পূরণ প্রথম দফা ভোটগ্রহণে ইঙ্গিত মিলেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভোট বেশি পড়া মানেই হলো সরকারের প্রতি বিরোধী তার ইঙ্গিত দেয়। সেই নিরিখে গতদিন যে পাঁচ জেলায় নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচনে ভোটের হার লক্ষ্য করা গেছে প্রায় ৮৮ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এই ভোটের হার অনেকটাই বেশি। আর এই ভোটের হারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মূল ভরসা বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
After discussions with booth level workers & party leaders, I can say out of 30 seats in West Bengal we will win more than 26 seats. We have got clear indications that BJP will win more than 37 seats out of 47 seats in Assam: Union Home Minister and BJP leader Amit Shah pic.twitter.com/A1dAcKuHtg
— ANI (@ANI) March 28, 2021
অমিত শাহ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “দলের কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা বলে আমি নিশ্চিত আমরা ২৬টির বেশি আসন পেতে চলেছি। আমাদের এই ভাবে সমর্থন জানানোর জন্য আমি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বাংলার মহিলাদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ভোট দেওয়ার জন্য। আমরা দুশোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়তে চলেছি। বাংলার ভাগ্য এখন নন্দীগ্রামের উপর। নন্দীগ্রামে পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন হবে।”
Mind games won’t work, Mo-Sha. Try your seat prediction stunts at the Gujarat Gymkhana.
This is Bengal. #KhelaHobe #TMCSweepsPhase1— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) March 28, 2021
[aaroporuntag]
যদিও প্রথম দফা ভোটের পরেই এইভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল নিয়ে ঘোষণা নজিরবিহীন। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটা অমিত শাহের মাইন্ড গেমও হতে পারে। আর এই ঘটনাকে তৃণমূলের তরফ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, “আপনার মাইন্ড গেম গুজরাটের জিমখানায় ফেলে আসুন। এটা বাংলা, এখানে সকল পূর্বাভাস চলবে না।”