নিজস্ব প্রতিবেদন : একসময় ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা হিসেবে বিধায়ক ছিলেন। পরে তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক হন। কিন্তু ২০১৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর বেশ কিছুদিন থাকে অন্তরালে থাকতে দেখা যায়। এরপর হঠাৎ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উদয় ঘটে তার। মনে করা হচ্ছিল লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পুনরায় তিনি বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। কিন্তু বিজেপি তাকে টিকিট দেয়নি। আর এর পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে নির্দল প্রার্থী হয়ে তার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তিনি লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নামবেন এবং আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার বোলপুর মহকুমা অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। যদিও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি মনিরুল ইসলামকে। তবে তার নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বীরভূমের রাজনীতি মহলে।
লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বিশ্বজিৎ মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে। অন্যদিকে এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ সিংহ ওরফে রানা সিংহ। পাশাপাশি এই বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআইএমের সৈয়দ মাহফুজুল করিম। আর এর সাথে সাথে যদি মনিরুল ইসলাম এই কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহলে সকলের কাছে লড়াইটা আরও মজাদার হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই জেলা বিজেপির অন্দরে চরম ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। যদিও ধীরে ধীরে সেই ক্ষোভ প্রশমিত হয়, তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই লাভপুরের একটি বিজেপি কার্যালয়ে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা যায়। আর এসবের মাঝেই মনিরুল ইসলামকে নিয়ে নতুন জল্পনা চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।