হিমাদ্রি মন্ডল : কখনো জল, কখনো ঘর, কখনো আবার সরকারি সাহায্য থেকে চাল ডাল, একাধিক ইস্যু নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে বের হওয়ার সময়ই স্থানীয়দের ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল বুধবার। এদিন সিউড়ি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী প্রচারে বের হলে তার সামনে ক্ষোভ উগরে দেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
সিউড়ি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী ভোট প্রার্থনা করতে বুধবার পৌঁছান সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত খটঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের খটঙ্গা গ্রামে। আর সেখানে তৃণমূল প্রার্থীকে হাতের কাছে পেয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্তর অভিযোগ জানান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী এর পাল্টা কেন তারা পাননি তার যুক্তিও দিয়েছেন।
ওই গ্রামের প্রাক্তন উপপ্রধান কংগ্রেস কর্মী রেনুকা খয়রা অভিযোগ করেছেন, তার বাড়িতে তার বোন দীর্ঘদিন ধরে বিধবা অবস্থায় রয়েছেন। তার নামে একাধিকবার সরকারি প্রকল্পের বাড়ি আসা সত্ত্বেও বারবার সেই বাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে, উপভোক্তাকে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও লকডাউন চলাকালীন কোন রকম সাহায্য প্রদান করা হয়নি। সাহায্য চাইতে গেলে কংগ্রেস করে এবং কংগ্রেস সমর্থক বলে ঘুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
যদিও এই সকল অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বিকাশ রায় চৌধুরী পাল্টা দাবি করেছেন, “যিনি বলছেন বাড়ি দেওয়া হয়নি তার পাকা বাড়ি রয়েছে। আমাদের গ্রাম বাংলার যে সকল মাটির বাড়ি রয়েছে তাদের আস্তে আস্তে বাড়ি দেওয়া হচ্ছে। আর সেই জায়গায় কি করে আমি পাকা বাড়ির মালিককে বাড়িয়ে দেব? যিনি এক সময় কংগ্রেসের উপপ্রধান ছিলেন তার এমন চাহিদা ঠিক নয়।”
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, বিকাশ রায় চৌধুরী এবার সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেও তিনি একজন অভিজ্ঞ এবং পোড়খাওয়া রাজনীতিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ সামলাচ্ছেন। আর এই সকল অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দাবি করেছেন, সামান্য কিছু ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিশ্চিত ভাবে জয়লাভ করবেন।