শীতলকুচিতে যে মুহূর্তে গুলি চলেছিল, সামনে এলো ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন : চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ পর্বে সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় অশান্তি ছবি ধরা পড়ছে। আর এই সকল একাধিক ঘটনার মধ্যে নজর কেড়েছে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের জোড়পাটকি। যেখানে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলার সময় অশান্তি তৈরি হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়। গুলি চালানোর ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয় এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে এই বিধানসভা কেন্দ্রেরই আরও একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনায় সাতসকালেই গুলিতে প্রাণ হারাতে হয় ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে। ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথ থেকে বলপূর্বক বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বোমাবাজিও করা হয় ওই বুথের সামনে। যদিও পরিবারের দাবি ওই যুবক কোন এজেন্ট ছিলেন না ভোট দিতে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ চেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ মিছিল করবে তৃণমূল।

কিন্তু কেন গুলি চালানোর কেন্দ্রীয় বাহিনী? নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে আত্মরক্ষার্থে বাহিনী গুলি চালিয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার শ্রী দেবাশীষ ধর জানিয়েছেন, “ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ঘিরে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়ে যান। সেই সময় হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মারধরের কারণে ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর এই গুজব ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার ৩০০ থেকে ৪০০ জন বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে। আর সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়।”

[aaroporuntag]
পাশাপাশি পুলিশ সুপারের বক্তব্য থেকে এটাও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হতে শুরু করে। বাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তারপর এই বাহিনী গুলি চালানোর মতো পদক্ষেপ নেয়। এদিনের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কেন্দ্রের উপর দোষারোপ করেছেন ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনার জন্য মমতার ‘বাহিনী ঘেরাও’ করার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এই ঘটনার জন্য পরোক্ষে মমতাকেই দায়ী করেছেন।