প্রসূন দাস : ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপর আলাদা ভাবে নজর রাখতে দেখা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। কখনো গৃহবন্দী, কখনো আবার নজরবন্দি! আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এবারের নির্বাচনেও ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ করা হয়েছে।
আর এই শোকজ হওয়ার আগেই অনুব্রত মণ্ডল তোপ দেগেছিলেন নির্বাচন কমিশন তথা নির্বাচন কমিশনারকে। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা একতরফা অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’। তিনি বলেন, “আমি বললে এতক্ষণে নজরবন্দি হয়ে যেতাম। দিলীপ ঘোষ বলছে আরও বুথে বুথে শীতলকুচি হবে। এই ধরনের কথা বলা যায়। বাংলার মানুষকে এইভাবে বলা যায়। বাংলার মানুষের প্রাণের কোন দাম নাই।”
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছেন। সেই প্রসঙ্গেও অনুব্রত মণ্ডল এদিন বলেন, “বলা যায়! দিলীপ ঘোষ ভাষা জানে না। দিলীপ ঘোষের ভাষা জ্ঞান নাই। বিজেপি যা বলছে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র তাই বলছে।”
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল শীতলকুচি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যে দাবি করছে আত্মরক্ষার্থে গুলিচালিয়েছে বাহিনী সেই দাবিকে অনুব্রত মণ্ডল চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “একটা ফুটেজ দেখাতে পারবে? টিভিতে যে বলছে একটা ফুটেজ দেখাও তো যে ৫০০-৬০০ লোক এসেছে। এই নির্বাচন জীবনে দেখি নাই। বলার আগে একটা ফুটেজ দেখাও।”
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে গতকাল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শোকজ করা হয় তার একাধিক জনসভায় একাধিক বিতর্কিত মূলক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। এই সকল মন্তব্যগুলির মধ্যে উল্লেখ্য ‘বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগার পার করে দেওয়া’, ‘ভ’য়ঙ্কর খেলা হবে’ ইত্যাদি। আর এই সকল মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল নির্বাচন কমিশনকে যতই ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে আক্রমণ করুক না কেন বিরোধীরা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সায় দিয়েছে।