প্রসূন দাস : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্যের একাধিক এলাকা। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি থেকে বাদ নেই অনুব্রত গড়ও। অনুব্রত গড় বীরভূমে ভোট রয়েছে অষ্টম দফা অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। তবে তার আগেই একাধিক এলাকা থেকে উঠে আসছেন আনা অশান্তির ছবি। যেমনটা ঘটেছে সিপিআইএমের প্রার্থী সামনেই তৃণমূল নেতার হুমকি।
সিপিআইএম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো গত বুধবারও নানুরের বিদায় বিধায়ক তথা সিপিআইএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান নির্বাচনী প্রচারে বের হন। আর তিনি নির্বাচনী প্রচারে বের হলে নানুর বিধানসভা এলাকার আগত্তর গ্রামে প্রবেশ করলে সেখানে প্রথমেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। মূলত তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থক এবং নেতারা। তারপরেই প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হয় হাত কেটে নেওয়ার।
সিপিআইএম প্রার্থীর সামনে এমন হুমকি দেন তৃণমূল পরিচালিত নানুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা জুলি বিবির স্বামী তৃনমুল নেতা নুরমান শেখ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় এবং বাদানুবাদের মধ্যেই নুরমান শেখকে হুমকি দিতে দেখা যায়, “এখানে সিপিআইএমের ভোট নাই। সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে দেবো।”
এ দিন প্রচারের সময় শ্যামলী প্রধান গ্রামের ঢুকলেই তাকে ঘিরে ধরেন ওই তৃনমুল নেতা নুরমান শেখ। সে সময় তিনি শ্যামলী প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি যে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটছেন সেই রাস্তা তৃণমূলের তৈরি। আপনি পাঁচ বছর কি করছিলেন? পাঁচ বছর বাদে চলে এসেছেন ভোট চাইতে?” এইভাবে একের পর এক আক্রমণাত্মকভাবে প্রশ্ন ছুঁড়তে থাকেন ওই তৃণমূল নেতা। সিপিআইএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান ওই ব্যক্তিকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও নাছোড়বান্দা ওই তৃণমূল নেতা কোন কিছু বুঝতে না চেয়ে বলেন, ‘ভোটের সময় উস্কানি দিতে চলে এসেছেন।’ আর তারপরেই এমন হুমকি।
[aaroporuntag]
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়েছে জেলার রাজনীতি। জেলার রাজনীতিবিদরা নানান প্রশ্ন তুলছেন ইলেকশন কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনেই এইভাবে কি করে একজন হুমকি দিতে পারেন একজন প্রার্থীকে। সিপিআইএম সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা কমিশনে অভিযোগ জানাবেন। আর অভিযোগ পেয়ে কমিশন কি পদক্ষেপ নেন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।