নিজস্ব প্রতিবেদন : নব্বইয়ের দশকে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে যেসকল অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজত্ব করতেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন দীপক চ্যাটার্জি অর্থাৎ চিরঞ্জিত চ্যাটার্জি। ফিল্মী কেরিয়ার সহ একাধিক ক্ষেত্রে তিনি বাঙ্গালীদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। আর এর সাথে সাথে সরাসরি রাজনীতিতে পা দিয়ে শাসকদল তৃণমূলের হয়ে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে প্রার্থী হয়ে বারাসত কেন্দ্র থেকে পরপর দুবার বিধায়ক হন। আর সেই পরিসংখ্যানের হিসাবে এবার ওই একই কেন্দ্র থেকে তাকে পুনরায় প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
বারাসাত কেন্দ্র থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে চিরঞ্জিত চ্যাটার্জি ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাথে সাথে জমা দিয়েছেন হলফনামা। যে হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে তার সম্পত্তির পরিমাণ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা। চলুন দেখে নেওয়া যাক তার সম্পত্তির পরিমাণ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা।
চিরঞ্জিত চ্যাটার্জি হলফনামায় জানিয়েছেন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার হাতে নগদ ছিল ৩৮,০৯৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর হাতে নগদ ছিল ১০,৫১৩.৩৭ টাকা। ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রতি অর্থবর্ষে তার রোজগার যথাক্রমে ৬৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৮৭ টাকা, ৫২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৭১ টাকা, ৪৪ লক্ষ ৪ হাজার ৩৩ টাকা, ৫৬ লক্ষ ৭ হাজার ৭১৪ টাকা এবং ৩৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৪০ টাকা। একই অর্থবর্ষে তার স্ত্রীর রোজগার যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ২১৮ টাকা, ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৩০ টাকা, ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৭০০ টাকা, ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৩৪ টাকা এবং ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা।
ব্যাঙ্ক, জীবন বিমা এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ থাকা মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ কোটি ৪৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩২৪.৮৭ টাকা। এই সকল একই ক্ষেত্রে তার স্ত্রীর বিনিয়োগ রয়েছে ৮০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮১১.৩১ টাকা। যার মধ্যে চিরঞ্জিত চ্যাটার্জি এবং তার স্ত্রীর গয়নার পরিমাণ যথাক্রমে ১৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৪৫ টাকা এবং ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। চিরঞ্জিত চ্যাটার্জির নামে একটি স্করপিও গাড়ি রয়েছে যার দাম হল ১৩ লক্ষ ১৫ হাজার ১৯০ টাকা।
চিরঞ্জিত চ্যাটার্জির নামে টালিগঞ্জের ডক্টর মেঘনাদ সাহা সরণিতে যে ফ্ল্যাটটি রয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য হল ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া আর কোন জমি জমার হিসাব পাওয়া যায়নি হলফনামা থেকে। এর পাশাপাশি চিরঞ্জিত চ্যাটার্জি একটি লোন রয়েছে, যে লোনের পরিমাণ ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৮৫ টাকা।
[aaroporuntag]
শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গে হলফনামায় চিরঞ্জিত চ্যাটার্জি জানিয়েছেন তার থেকে জানা যাচ্ছে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাস। তিনি ১৯৬৭ সালে ভবানীপুরের মিত্র ইন্সটিটিউশন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।