নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার সহ চার পুলিশ আধিকারিকের রদবদল করলো নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সোমবার। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার বদলি ছাড়াও বদলি করা হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার, আসানসোল-দুর্গাপুরের সিপি এবং বোলপুরে এসডিপিওকে।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সোমবার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বীরভূমের পুলিশ সুপার মিরাজ খালিদের পরিবর্তে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব বসানো হচ্ছে নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে। বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়ের পরিবর্তে আসছেন নাগরাজ দেভরাকোন্ডা। এর পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জির পরিবর্তে পুলিশ সুপার হচ্ছেন অজিত কুমার সিং এবং আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট অফ পুলিশ সুকেশ জেইন-এর পরিবর্তে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন মিতেস জেইন।
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা বিজেপির তরফ থেকে বারংবার বীরভূম জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আনা হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন। বিজেপির অভিযোগ জেলায় তাদের ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ইতিমধ্যেই পাঁচ জন প্রার্থী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমত অবস্থায় বিজেপির তরফ থেকে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি গত শনিবার সাঁইথিয়া বিধানসভার প্রার্থী প্রিয়া সাহা আক্রান্ত হলে তিনি সিউড়ি থানার সামনে ধর্ণায় বসেন। পরে সেই ধর্না মঞ্চে যোগদান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়েই বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের ক্লোজ দাবি করেন। আর শুভেন্দু অধিকারীর এমন দাবি করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের দায়িত্ব থেকে সরতে হলো বীরভূমের পুলিশ সুপার মিরাজ খালিদকে।
আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী নন্দীগ্রামের ভোটের দিন চর্চায় এসেছিলেন। যেদিন তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে বলতে দেখা গিয়েছিল ‘ম্যাডাম খাকি পরে কোন দাগ নেবো না।’ পুলিশের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের ভোটের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই পুলিশ অফিসারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছিলেন, ‘ম্যাডাম খাকি পরে কোন দাগ নেবো না।’