অনুব্রতর দাবি বীরভূমে ‘তৃণমূল ১১ তে ১১’, অন্য কথা হুমায়ুন কবিরের

Updated on:

Advertisements

চন্দন কর্মকার : এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে অষ্টম দফায় অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল। আর এই নির্বাচনে বীরভূমের প্রতিটি আসন অর্থাৎ ১১টি আসনের ১১টিই পাবে তৃণমূল এমনটাই বারংবার দাবি করে আসছেন বীরভূম তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে অনুব্রত মণ্ডলের এই দাবির ভিন্ন দাবি করতে দেখা গেল প্রাক্তণ আইপিএস অফিসার তথা ডেবরার তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবিরকে।

Advertisements

প্রাক্তণ এই আইপিএস অফিসার মঙ্গলবার বীরভূমের আমোদপুর এলাকার ভ্রমরকল গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে আসেন। আর প্রচার শেষে প্রশ্ন ওঠে বীরভূমের ফলাফল কি হবে? এই প্রশ্ন উঠতেই হুমায়ুন কবির উত্তর দেন, “বীরভূমে একটা দুটোর বেশি সিট পাবে না ওরা (বিজেপি)।” আর তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবিরের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি অনুযায়ী ১১ তে ১১ হচ্ছে না!” যদিও হুমায়ুন কবির স্পষ্ট করেননি কোন দুটি আসনের বিষয়ে তিনি কথা বলছেন।

Advertisements

পাশাপাশি হুমায়ুন কবির নিজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানান, “এটা আমি ভেবে দেখেছি। দলের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। দুটো সিটের অবস্থা খারাপের বিষয়ে আমি দলের নেতাদের জানাবো।”

Advertisements

অন্যদিকে হুমায়ুন কবির এদিন বিজেপি নেতা তথা লাভপুরের নির্দল প্রার্থী মনিরুল ইসলামকে একহাত নেন। হুমায়ুন কবির বলেন, “মনিরুল ইসলাম একেবারে ক্রিমিনাল। ওকে আমি ধরেছিলাম প্রচুর অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। সেই সময় কোমরে দড়ি বেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। প্রচুর মার্ডার করেছে। একসঙ্গে তিন জনকে মার্ডার করেছে। মাঝে মাঝে বলে না পায়ে পিষে মেরেছি। ওকে এবার মানুষ গণতন্ত্র বুঝিয়ে দেবে। ওই মনিরুল ইসলামের নামো নিশান থাকবে না এবার, ভোটে উড়ে যাবে। ওতো নির্দলের প্রার্থী হয়েছে, নিজের বাড়ির ভোটটাও পাবে কিনা মনে হয় না।”

[aaroporuntag]
পাশাপাশি এদিন তিনি গত কালকের ভারতী ঘোষের রোড শোয়ের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেন এবং বলেন, “সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে ভোটের প্রচার করা। ভারতী ঘোষের সাথে যেটা হয়েছে সেটা হওয়া উচিত হয়নি। তবে ভারতী ঘোষ একটা কালারফুল চরিত্র। ভারতী ঘোষ কোন রকম বিতর্কিত মন্তব্য করেছে কিনা সেটাও দেখা দরকার।” পাশাপাশি হুমায়ুন কবির এদিন বীরভূমের পুলিশ সুপার বদলিও নির্বাচন কমিশনের নিন্দা করেন।

Advertisements