নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে নতুন করে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর এই দ্বিতীয় ঢেউ আগের থেকেও বেশি ভ’য়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে যুবক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে বলেন এবং বিশেষ অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন তার ভাষণে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, আপাতত কেন্দ্র সরকার কোনরকম লকডাউনের কথা ভাবছে না। এমনকি রাজ্যগুলিকেও কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে লকডাউনকে যেন অন্তিম পর্যায় হিসাবে ব্যবহার করে থাকে রাজ্য সরকারগুলি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের অনুরোধ করতে হবে, যেন তারা যে রাজ্যে কাজে রয়েছেন সেই রাজ্যেই থাকেন। তাড়াহুড়ো করে নিজের রাজ্যে ফেরার প্রয়োজন নেই। ওই সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের কর্মস্থলের রাজ্যের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “এতে নিজেদের কাজে কোন রকম খামতি হবে না এবং অন্য কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন তার ভাষণে স্পষ্ট করে দেন, “প্রথমবার আমাদের দেশে যখন করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল তখন এই রোগ সম্বন্ধে আমাদের তেমন ধারণা ছিল না। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সরঞ্জাম ছিল না ঠিকঠাক। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। এখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে যা এই রোগকে আমরা অনায়াসে হারিয়ে দিতে পারি।”
আর এই ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুব সম্প্রদায়কে এই সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য বিশেষ ভাবে এগিয়ে আসার আবেদন করেন। তিনি বলেন, “দেশের যুবক সম্প্রদায় তাদের এলাকায় ছোট ছোট কমিটি তৈরি করে সাধারণ মানুষকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে অনুরোধ করুক। আর আমরা এটা যদি করি তাহলে সরকারকে কখনোই কনটেইনমেন্ট জোন, কার্ফু জারি করার কোন প্রয়োজন হবে না। আর লকডাউনের তো কোন প্রশ্নই আসবেনা।”
[aaroporuntag]
অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, দেশের যুব সম্প্রদায় যেমন কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অন্যান্যদের সাহায্য করবে, ঠিক তেমনি মানুষও যদি সচেতন হোন তাহলে এই রোগ থেকে আমরা সহজেই মুক্তি পেতে পারি। যেমনটা আমরা করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় লক্ষ্য করেছিলাম। কারণ এই রোগ থেকে বাঁচার সবথেকে বড় উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।