নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিন এই অনুব্রত মণ্ডলই কবি শঙ্খ ঘোষ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘এ আবার কোন কবি?’ তবে সে যাই হোক বুধবার কবি শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
কবি শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের পর অনুব্রত মণ্ডল শোক প্রকাশ করে বলেন, “দেখো আমি একটা কথা বলি। কবি শঙ্খ ঘোষ বাংলার কবি ছিল। তিনি আজ দেহত্যাগ করেছেন। আজ বাংলা রীতিমতো সত্যিই দুঃখ পেয়েছে। একটা কবি চলে গেলেন। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি। উনি আমার বাংলার কবি। উনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, শত কোটি প্রণাম জানাই।”
এরপর এই প্রশ্ন ওঠে একটা সময় আপনার উন্নয়ন নিয়ে উনি কবিতা লিখেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কি লিখেছিল, পুরনো কথা বলতে আমি রাজি নয়। উনি কবি ছিলেন, বাংলার কবি ছিলেন। উনার মৃত্যুতে আজ বাংলা যেমন শোকাহত, তেমনি আমিও দুঃখিত। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সাথে কবি শঙ্খ ঘোষের এক জায়গায় মিল রয়েছে, তা হলো ‘উন্নয়ন’। সে বছর তিনেক আগের কথা। ২০১৮ সালের মে মাসে যখন রাজ্য জুড়ে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, “বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে।”
আর তার এই বক্তব্যের পর লক্ষ্য করা গেছে বীরভূমের ৪২টি জেলা পরিষদ আসনের ৪১টিতেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন নি বিরোধীরা। হাতেগোনা কয়েকটি পঞ্চায়েতে বিরোধীরা নামমাত্র মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমর্থ হয় এবং সেইগুলিতেই নির্বাচন হয়। বাকি সমস্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল।
আর সেই সময়ই কবি শঙ্খ ঘোষ কলম ধরে লিখেছিলেন ‘মুক্ত গণতন্ত্র’ নামের একটি কবিতা। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, “যথার্থ এই বীরভূমি, উত্তাল ঢেউ পেরিয়ে এসে পেয়েছি শেষ তীরভূমি। দেখ খুলে তোর তিন নয়ন, রাস্তা জুড়ে খড়গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন”।
[aaroporuntag]
আর এই কবিতা প্রকাশের পরেই অনুব্রত মণ্ডল এই কবিতা এবং কবি শঙ্খ ঘোষ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “বড় বড় কথা বলছেন কবি? এ কোন কবি? আমরা তো কবি বলতে জানতাম রবীন্দ্রনাথ, নজরুল। একোন নতুন কবি উঠে এসেছেন যে, আমার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছেন!” পাশাপাশি কবির নাম সম্বন্ধেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “কবির নাম শঙ্খ রাখা ঠিক হয়নি। এখনো বলছি রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। উনি শঙ্খ নামের অপমান করছেন।”