নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা দেশেই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে সরকারিভাবে সরকারি অফিসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৫০% কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে। বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও কর্মীসংখ্যা কমিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্কের কর্মীরা?
ব্যাঙ্কের ইউনিয়নগুলি ইতিমধ্যেই তাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউনিয়নগুলির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে অনুরোধ করা হয়েছে কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া এবং কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করার। যার পরেই আশঙ্কা যাচ্ছে ব্যাঙ্কের কাজের সময় কমে যাওয়ার।
ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন-এর সঞ্জীব কে বন্দলিস অর্থমন্ত্রককে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ৪ থেকে ছয় ৬ কাজের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত করে দেওয়া হোক।
এই ইউনিয়নের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে এবিষয়ে পদক্ষেপ নিক অর্থমন্ত্রক। কারণ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা সরাসরি গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক রাখেন। সেক্ষেত্রে গ্রাহকরা কি শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে শাখায় আসছেন তা কারোর জানা সম্ভব নয়। আর এই পরিস্থিতিতে যদি কাজের সময় কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সরাসরি সংস্পর্শে আসার সময়টা অন্তত কিছুটা কমবে। পাশাপাশি কর্মীরা যাতে বাড়ি থেকেই কাজ করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও চালু করার দাবি করা হয়েছে।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম ঢেউয়ে লকডাউন এবং অন্যান্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও ব্যাঙ্কের শাখা অধিকাংশ সময়ই খুলে রাখা হয়েছিল। কিছু কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়কালে অজস্র ব্যাঙ্ক কর্মীদের করোনা আক্রান্ত হতে লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করার দাবি তুলছে।