নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষ দু’দফা ভোটের আগেই বীরভূমে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী একাধিক জায়গায় ছোট ছোট করে জনসভা অথবা স্ট্রিট কর্নার করে চলেছেন। আর এই সফল জনসভা এবং স্ট্রিট কর্নার থেকেই দিলীপ ঘোষ করোনা থেকে টিকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলকে একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ করলেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘বদমাইশি করলে কপালে কষ্ট আছে’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির জন্য ইলেকশন কমিশন এবং বিজেপিকে দায়ী করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ একহাত নিয়ে বলেন, “দেখুন মমতা ব্যানার্জি করোনার সময় মানুষকে ভগবানের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। রাস্তায় মরে পড়ে থাকতো। ডাক্তার, নার্সদের পিপিই কিট দিতে পারে নাই, আন্দোলন হয়েছে। ডেড বডিকে যেভাবে টেনে টেনে নিয়ে গেছে কোন সভ্য দেশে হয় না। অমানবিক। জল নাই, ওষুধ নাই। ডাক্তাররা মারা গেছেন। উনি বলেছিলেন যে সকল সরকারি কর্মচারীরা অসুস্থ হবেন তাদের এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এক দুজনকে দিয়ে পুরো টাকা খেয়ে নিয়েছে, কাউকে দেয়নি। সেই জন্য মমতা ব্যানার্জির বলার কোন অধিকার নাই।”
এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ যেদিন মমতা ব্যানার্জিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “উনি বলেছিলেন ফ্রিতে টিকা দেবেন। এখন কেন্দ্র অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। এবার উনি কিনে ফ্রিতে সকলকে ভ্যাকসিন দিন। আমরা দেখতে চাই উনি পারেন কিনা।”
অন্যদিকে ভোটের প্রসঙ্গে ইলেকশন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, “ইলেকশন কমিশন সঠিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাচ্ছে বলে উনার ভয়। উনি লুট করতে পারছেন না। উনার গু’ন্ডা ভাইয়েরা চিৎকার করে কিছু করতে পারছেন না। লোক গিয়ে ভোট দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের ইলেকশন কমিশন এবং সেন্ট্রাল ফোর্স সবার উপর ভরসা আছে। উনার (মমতা ব্যানার্জী) উপরে এখন আর কেউ ভরসা রাখে না। আর ২ তারিখের পর উনাকে থানা ঘেরাও-ই করতে হবে আর কিছু করার থাকবে না।”
[aaroporuntag]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস করার প্রসঙ্গকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষের দাবি, “শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। অফিসাররা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। এতে অসুবিধার কি আছে? সব জায়গাতেই ৮০ পার্সেন্টের উপরে ভোট হচ্ছে। বীরভূম জেলাতেও ৮০ পার্সেন্টের উপরে ভোট হবে। কেউ আটকাতে পারবেনা। আর বীরভূমের বেশিরভাগ আসনই পাবে বিজেপি। আগের দফাগুলিতেও যেমন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে সেই রকমই ভোট হবে সপ্তম ও অষ্টম দফায়। নির্বাচন কমিশন এবং সেন্ট্রাল ফোর্স শান্তিপূর্ণ ভোট করাবে। যারা বদমাইশি করার চেষ্টা করবে তাদের কপালে কষ্ট আছে।”