নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২৯ এপ্রিল বীরভূমের রয়েছে ভোট। অষ্টম দফার এই ভোটের ৪ দিন আগে ৩ পুলিশ অফিসারের রদবদল করা হলো জেলা পুলিশের তরফ থেকে। এই রদবদলের তালিকায় রয়েছে নলহাটি থানা, দুবরাজপুর থানা এবং ইলামবাজার থানা।
নলহাটি থানার ওসি সেখ মহঃ আলীর পরিবর্তে দায়িত্বে এলেন ইলামবাজার থানার পুলিশ অফিসার রঞ্জিত বাউরী। জানা যাচ্ছে এসআই সেখ মহঃ আলী করোনা আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুরে চিকিৎসাধীন। যে কারণে ভোটের সময় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে তার জন্য ওই থানায় রঞ্জিত বাউরীকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে দুবরাজপুর থানার ওসি গত কয়েকদিন আগে দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাধে। যে ঘটনায় দুবরাজপুর থানার ওসি দেবব্রত সিনহার পায়ে চোট লাগে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে এসআই প্রসেনজিৎ দত্তকে।
অন্যদিকে ইলামবাজার থানায় এসআই রণজিৎ বাউড়ির জায়গায় আনা হলো এসআই বিপ্লব দত্তকে।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, বীরভূমের ভোটের বেশ কয়েকদিন আগেই বীরভূমের পুলিশ সুপার আইপিএস মিরাজ খালিদকে বদল করে নির্বাচন কমিশন। তার জায়গায় নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে আনা হয় আইপিএস নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে। নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী এবছর নন্দীগ্রামের ভোটের দিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চার ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। কারণ ওই দিন এই আইপিএস অফিসারকে মুখ্যমন্ত্রীর চোখে চোখ রেখে বলতে দেখা গিয়েছিল ‘খাকি গায়ে দাগ নেবো না ম্যাডাম’। আর এই আইপিএস অফিসার কে বীরভূমে পোস্টিং দেওয়ায় তৃণমূল প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে।