শেষ দফা ভোটের আগে ফের ধাক্কা তৃণমূলে, দল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে দলীয় কর্মী সমর্থকদের দল ছাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে। আর এবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে একেবারে চূড়ান্ত পর্যায় অর্থাৎ শেষ দফার ভোটের আগেও। বৃহস্পতিবার অষ্টম দফা ভোটের আগে বুধবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। কিন্তু কেন?

উপেন বিশ্বাস বুধবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ইমেল মারফত দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি কোর কমিটির সদস্য পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। আর তার এই দল ছাড়ার কারণকে তিনি একান্ত ব্যক্তিগত বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি নিজের বয়স বাড়ার প্রসঙ্গকেও তুলে ধরেছেন। ভোটে তিনি দাঁড়াবেন না তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তবে শেষ দফা ভোটের আগেই এই ভাবে ইস্তাফা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি করছে।

উপেন বিশ্বাস সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে অবসরের পর ২০০২ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদলের সময় তিনি বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন। বিধায়ক হওয়ার পর তাকে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক বলে পরিচিত এই উপেন বিশ্বাস ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। কিন্তু পরাজিত হওয়ার পরেও দল তাকে এসটি-এসসি কমিশনে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদার দায়িত্ব দেয়। পাশাপাশি তিনি দলের সিবিআই পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতে থাকেন।

[aaroporuntag]
দলের সমস্ত রকম পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর উপেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, “বয়স বাড়ার কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালাম।” তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর তিনি ২০১৮ সাল থেকেই দলে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ছিলেন। নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে দলের সাথে তিনি সহমত ছিলেন না। যার পরেই দলের সাথে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। আর এসবের পরেই বুধবার পাকাপাকিভাবে দলের সাথে সম্পর্ক ছেদ করলেন তিনি।